তৈরি পোশাক খাতে ‘রিসাইকেলড’ (পুণঃব্যবহার) পণ্য উৎপাদনকারী বাংলাদেশি কোম্পানি সিমকো নিটিং অ্যান্ড টেক্সটাইলসের ‘সাইক্লো’র নাম দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে সুইজারল্যান্ডের কোম্পানি ‘অন এজি’র ব্র্যান্ড ‘সাইক্লোন’ এর বিরুদ্ধে।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপানসহ বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে ‘সাইক্লো’ ব্র্যান্ডে পণ্য সরবরাহ করে আসছে।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলন করে সুইস কোম্পানির বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে ধরে বাংলাদেশি কোম্পানি সিমকো নিটিং অ্যান্ড টেক্সটাইলসের ‘সাইক্লো’।
অভিযোগের বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক মুস্তাফাইন মুনির বলেন, সুইস কোম্পানি কারণে ‘সাইক্লো’ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। তারা বিদেশি ক্রেতার কাছে সাইক্লো‘র বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়াচ্ছে।
মুনির আরও উল্লেখ করেছেন, বিশ্বব্যাপী একটি ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বছরের পর বছর পরিশ্রম ও বিনিয়োগ প্রয়োজন। দুর্বল আইনের কারণে প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ডগুলি অনুকরণের মুখোমুখি হয়।
২০১৪ সাল থেকে ‘সাইক্লো’ ব্র্যান্ড হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের স্বীকৃতি পেয়েছে দাবি করেছে সিমকো স্পিনিং অ্যান্ড টেক্সটাইলস। এটি পোশাক খাতে বাংলাদেশের প্রথম রিসাইকেলড পণ্যের কোম্পানি।
ব্র্যান্ডের নামের জটিলতা দূর করতে সাইক্লোর নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী এবিএম হামিদুল মিসবাহ বলেন, “সুইস কোম্পানি ‘অন এজি’ খেলা–ধূলার জুতা তৈরি করে। এখন তারা গার্মেন্টস লাইনে রিসাইকেলড পণ্যের কোম্পানি খুলেছে সাইক্লোন নাম দিয়ে।
“সিমকো দেশের শতভাগ রপ্তানিকারক কোম্পানি ও এইচএনএম, জারা এবং ওয়ালমার্টের মত অনেক কোম্পানিকে ইয়ার্ন দেয়। এখন সাইক্লোন বলছে, আমাদের সাইক্লো ব্র্যান্ড থেকে পণ্য না নিতে। আমাদের বলছে কোম্পানি বন্ধ করে দিতে।”
এর কোনো আইনি সমাধান আছে কি না প্রশ্ন করলে হামিদুল মিসবাহ বলেন, “তাদের আইনজীবীর সঙ্গে চিঠি চালাচালি চলছে। আমরা ভাবছি, ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অরগানাইজেশনে যাবে বিষয়টির সমাধান করতে।”
ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি অরগানাইজেশন হচ্ছে মেধাস্বত্ব নিয়ে কাজ করা বৈশ্বিক সংগঠন।