২০২৬ বিশ্বকাপ ফুটবলের বাছাইয়ের দ্বিতীয়পর্বের শুরুটা ভালো হলো না। শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়ার সামনে মুখ থুবড়ে পড়েছে জামাল ভূঁইয়ারা। মেলবোর্নের মাঠে ৭–০ গোলে হেরেছে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা। সকারুদের নাম্বার নাইন জেমি ম্যাকলারেন হ্যাটট্রিক পেয়েছেন।
সাত গোলের কথা হলে স্মৃতিতে ভাসে ২০১৪ বিশ্বকাপে ব্রাজিল ও জার্মানির ম্যাচ। সেবার সেলেসাওদের জালে ৭ বার বল ঢুকিয়েছিল জার্মানি। যা ফুটবল ভক্ত–সমর্থকদের কাছে ‘সেভেন আপ’ নামে পরিচিত। এবার সেই ঘটনা আবারও ফিরল বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মাঠে। যেখানে প্রতিপক্ষ বাংলাদেশকে নিয়ে রীতিমতো ছেলেখেলা করেছে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
বিশ্বকাপ বাছাইয়ে এর আগে আরও দুইবার অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ। ২০১৫ সালের সেই দুই ম্যাচে পার্থে ০–৫ আর ঢাকায় ০–৪ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশ। এবার ফিফা ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচে ঠিক জয়ের প্রত্যাশা না করলেও ভালো খেলার প্রত্যয় নিয়ে মাঠে নেমেছিল লাল–সবুজের জার্সিধারীরা। তবে তা হয়নি। উল্টো সকারুজদের বিপক্ষে সাত সাতটি গোল হজম করেছে জামাল ভূঁইয়ারা।
আগে রক্ষণ সামলাও, তারপর সুযোগ পেলে আক্রমণে যাও–এই মন্ত্র নিয়েই বিশ্বের ২৭ নম্বর দলের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল ১৮৩ নম্বরে থাকা বাংলাদেশ। কোনো মন্ত্রে কিছু হয়নি।
বাংলাদেশের রক্ষণকে সারাক্ষণ ব্যতিব্যস্ত রেখে টপাটপ গোল আদায় করে নিয়েছে সর্বশেষ পাঁচটি বিশ্বকাপের চূড়ান্ত পর্বে খেলা অস্ট্রেলিয়া। বাংলাদেশ নিজেদের সীমানা ছেড়ে ওপরে ওঠার সুযোগ পায়নি বললেই চলে।
ছিটেফোঁটা সুযোগ যাও এসেছিল অস্ট্রেলিয়ার গোলমুখের দিকে এগিয়ে যাওয়ার, মাঝমাঠ থেকেই তা হয়েছে প্রতিহত। কখনো স্বাগতিক ফুটবলাররা বল কেড়ে নিয়েছেন, কখন বাংলাদেশের ফুটবলাররা ভুল পাসে বল প্রতিপক্ষের পায়ে তুলে দিয়েছেন।
শারীরিক সুবিধা কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়া দুই উইং ব্যবহার করে দুমড়েমুচড়ে দিয়েছে বাংলাদেশের রক্ষণ। বিশ্বনাথ, তারিক, সাদ উদ্দিন আর মুরাদরা বারবার অস্ট্রেলিয়ান ফরোয়ার্ডদের গতির কাছে হার মেনে মাটিতে লুটিয়েছেন।
যদিও ৯০ মিনিটে ব্যবধান ৮–০ হতে পারতো। এইডেন ওনেইলকে বক্সে ফাউল করেন বদলি ডিফেন্ডার শাকিল হোসেন। রেফারি পেনাল্টি দেন। মাসিমোর পেনাল্টি ঠেকিয়ে দেন বাংলদেশের গোলরক্ষক মিতুল মারমা। পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের একটু উদযাপনের উপলক্ষ্য ছিল ওই পেনাল্টি ঠেকানোটাই। শেষে ৭–০ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে লাল–সবুজের প্রতিনিধিরা।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ