বহুল প্রতিক্ষিত সর্বজনীন পেনশন চালু হচ্ছে আগামীকাল (১৬ আগস্ট) । সর্বজনীন পেনশনে বেশ সুবিধা দেখছেন অর্থনীতিবিদরা। তবে যাদের চাঁদা দেয়ার সামর্থ নেই, তাদের অন্তর্ভুক্তি না থাকায় এটাকে সর্বজনীন বলতে নারাজ কেউ কেউ। সবমিলিয়ে পেনশন কার্যক্রম পরিচালনায় স্বতন্ত্র কাঠামো তৈরির পরামর্শ বিশ্লেষকদের।
চার ক্যাটাগরিতে চালু হচ্ছে সর্বজনীন পেনশন। বেসরকারি খাতের চাকরিজীবীদের জন্য ‘প্রগতি‘, স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিদের জন্য ‘সুরক্ষা‘, যারা প্রবাসে থাকেন তাদের জন্য ‘প্রবাসী‘ আর নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীদের জন্য ‘সমতা‘ শীর্ষক কর্মসূচি চালু করা হচ্ছে।
এতে দেশের ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সীরা নিবন্ধন করতে পারবেন। একইসঙ্গে বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছরের বেশি বয়সীরাও পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন। প্রগতিতে মাসিক চাঁদার হার দুই থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। যাতে ৪২ বছর চাঁদা দিলে মাসে সর্বনিম্ন পেনশন পাওয়া যাবে ৬৮ হাজার টাকা।
সুরক্ষাতে মাসিক চাঁদার হার এক থেকে ৫ হাজার টাকা। এটিতে নির্ধারতি সময় পার হলে মাসিক সর্বনিম্ন পেনশন পাওয়া যাবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। প্রবাস স্কিমে চাঁদার হার ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। যাতে মাসে সর্বনিম্ন পেনশন এক লাখ ৭২ হাজার টাকা।
আর সমতা স্কিমে ৫০০ টাকা চাঁদার সঙ্গে সরকার দিবে আরো ৫০০ টাকা। যেটি সম্পন্ন হলে মাসিক পেনশন পাওয়া যাবে প্রায় ৩৫ হাজার টাকা। অর্থনীতিবিদরা বলছেন. শুধু ব্যক্তি জীবন নয় সবর্জনীন পেনশন স্কিম দেশের অর্থনীতিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ এটা পরিচালনা করলেও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে স্বতন্ত্র কাঠামো গঠনের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
বৃহস্পতিবার সর্বজনীন পেনশন স্কিম উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ দিন থেকেই আগ্রহীরা নিবন্ধন করতে পারবেন।
আল/ দীপ্ত সংবাদ