বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী এবং মেধাবী নবীন প্রকৌশলী আসিফ করিম হিমু (২৮) সন্ত্রাসীদের হামলায় নিহত হন। মঙ্গলবার (১১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে প্রকৌশলী আসিফ করিম হিমু হত্যার প্রতিবাদে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
চলতি বছরের ২৬ জুন রাজধানীর গাজীপুরে নিজ কর্মস্থল রেঁনেসা এ্যাপারেল লিমিটেড সংলগ্ন হোতা পাড়া এলাকায় স্থানীয় ইন্টারনেট সরবরাহকারীর সাথে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে কথা কাটাকাটির জের ধরে ওইদিন বিকালে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা তার উপর অতর্কিত হামলা করে। হামলায় গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, ‘বস্ত্র ও পোশাক খাত বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। আর টেক্সটাইল প্রকৌশলীরা এই খাতের অন্যতম চালক। এই খাতের একজন প্রকৌশলীকে হত্যা দেশকে মেধাশূন্য করার শামিল। ফল স্বরূপ দেশের অর্থনীতিতে নেমে আসতে পারে বিপর্যয়। পাশাপাশি বিদেশি ক্রেতাদের কাছে দেশের ভাবমূর্তি সংকটে পড়তে পারে।‘
সংবাদ সম্মেলনে ইঞ্জিনিয়ার সফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকার মধ্যেই আমাদের টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় অবস্থিত। তিনি আমাদের অভিভাবক, তিনি চাইলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতরা দ্রুত আইনের আওতায় আসবে বলে আমরা আশাবাদী। আমরা হিমু হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।‘
তিনি আরও বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের যদি সুষ্ঠু বিচার না হয়, তাহলে দেশের পোশাকশিল্প হুমকির মুখে পড়তে পারে। হিমু হত্যার বিচারের দাবিতে আমরা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রশাসনের বিভিন্ন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি পেশ করবো। যদি তাতেও সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না হয় তবে আগামী ২৬ জুলাই আমরা হিমুর হত্যাকাণ্ড ঘটানো স্থানে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করব।‘
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহ আলীমুজ্জামান, বিবিটিইএ’র সিনিয়র সহ–সভাপতি প্রকৌশলী মাসুদুর রহমান, টিইডি’র চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আসাদ হোসেন, আইইবি’র সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী সাখাওয়াত হোসেন তালুকদার এবং হিমুর মামা ফিরোজ খানসহ প্রকৌশলী সংগঠনগুলোর নেতারা।
উক্ত মানব বন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক বস্তু প্রকৌশলী প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ করে প্রকৌশলী হিমু হত্যার বিচার নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান।
পূর্ণিমা/দীপ্ত নিউজ