শীতের রুক্ষতাকে বিদায় জানিয়ে ভালোবাসা দিবস আর বসন্তের রঙ যেন মিলেছে একই দিনে। কারণ, আজ ১৪ ফেব্রুয়ারি। একই দিনে কেউ করছে বসন্তের উদযাপন, কেউবা ভালোবাসার উদযাপন।
শীতের খোলস পাল্টে ঋতুরাজকে স্বাগত জানাতে প্রকৃতি সেজেছে বর্ণিল সাজে। কান পাতলে কংক্রিটের এ নগরেও শোনা যাচ্ছে কোকিলের কুহু কুহু ডাক। দাখিনা হাওয়ায় প্রাণবন্ত প্রকৃতি। গাছের ডগায় ডগায় সবুজাভ নতুন পাতা। বাগানে বাহারি রঙিন ফুল। সবমিলিয়ে প্রকৃতি জানান দিচ্ছে আজ পহেলা ফাল্গুন।
প্রতি বছরের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের বকুলতলায় হবে জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ‘বসন্ত উৎসব’। আর ২২৫ নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে রাজধানী রমনায় বিকাল ৩টায় শুরু হবে শিল্পকলা একাডেমির বসন্ত উৎসব। রমনা পার্কের শতায়ু অঙ্গণে এই আয়োজনে থাকবে আলোচনা সভা ও নৃত্য পরিবেশনা। অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে বিকাল সাড়ে ৪টায় বসন্তের রঙিন শোভাযাত্রা শুরু হবে। শোভাযাত্রাটি রমনা পার্ক থেকে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে সমবেত হবে।
এদিকে, একই দিনে বিশ্বজুড়ে উদযাপিত হচ্ছে ‘বিশ্ব ভালবাসা দিবস’ (ভ্যালেন্টাইন ডে)। ঋতুরাজের হাত ধরে এবারও এলো ভালোবাসার এই বিশেষ দিনটি।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস
বাংলাদেশে ৩১ বছর আগে এই ভ্যালেন্টাইনস ডে বা ভালোবাসা দিবসের সূচনা হয়। দিনটি পশ্চিমা সংস্কৃতির অনুষঙ্গ হলেও ভালোবাসা দিবসে বাঙালি মনের ভালোবাসাও যেন পায় নতুন রূপ। এদিনে নিজের ভ্যালেন্টাইনকে প্রপোজ করা, বিভিন্ন উপহারের পাশাপাশি লাল গোলাপ দেওয়া, তাকে নিয়ে ঘুরতে বের হওয়াসহ নানা কর্মকাণ্ডে মেতে ওঠেন তরুণ–তরুণীরা।
তবে আজকের এ ভালোবাসা শুধুই প্রেমিক আর প্রেমিকার জন্য নয়। মা–বাবা, স্বামী–স্ত্রী, ভাইবোন, প্রিয় সন্তান এমনকি বন্ধুর জন্যও ভালোবাসার দিন এটি।
পৃথিবীর আদিমতম সম্পর্কের নাম ভালোবাসা। ভালোবাসার জন্য কেউ সাম্রাজ্য ত্যাগ করেছে আবার কেউ কেউ জীবনও দিয়েছে। ভালোবাসার প্রত্যয়কে চিরঞ্জীব করে রাখতে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে ‘ভ্যালেন্টাইন্স ডে’ বা ‘বিশ্ব ভালোবাসা দিবস’।
এসএ/দীপ্ত নিউজ