পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর সার্বজনীন এক উৎসবের নাম। বাংলা পুরাতন বছর বিদায় দিয়ে ১৪৩০ বঙ্গাব্দকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত মঙ্গল শোভাযাত্রার আতুরঘর যশোর। রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় এবার সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠানমালায় নববর্ষ উদযাপন করবে জেলার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো।
সে লক্ষ্যেই শেষ মুহুর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন শিল্পীরা। বর্ষবরণে জেলা প্রশাসনের পক্ষেও নেওয়া হয়েছে সব ধরনের প্রস্তুতি। শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) সারাদেশে উদযাপিত হবে বাংলা নববর্ষ।
চারুপিঠের সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, ১৯৭৮ সালে প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রার সূচনা হয় যশোরের চারুপীঠে। এরপর তা ছড়িয়ে পড়ে দেশজুড়ে। প্রতিবছরের ধারাবাহিকতায় এবারও নববর্ষের সকালে বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। সে লক্ষেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের শিল্পীরা।
অন্যদিকে বাংলা নতুন বছর’কে বরণ করতে উন্মুখ হয়ে আছেন সংস্কৃতিককর্মীরা। সকাল ৭টা ১মিনিটে স্থানীয় পৌর উদ্যানে শুরু হবে উদীচীর বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। এছাড়া শহরের কয়েকটি স্থানে পৃথকভাবে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে পুনশ্চ, সুরধুনী, চাঁদেরহাট, বিবর্তনসহ ১০টি সংগঠন। অনুষ্ঠান সফল করতে মাস খানেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা। এখন চলছে শেষ মুহুর্তের মহড়া।
সাংস্কৃতিক কর্মীরা জানান, এবার রমজানের কারণে তারা সল্পপরিসরে নববর্ষ বরণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। মঙ্গলশোভাযাত্রার জন্য বড় চারটি পুতুল, হাতি, ঘোড়াসহ থাকবে মুখোশ। এছাড়া চারুতীর্থ তাদের আয়োজনের মধ্যদিয়ে প্লাস্টিক বিরোধী মেসেজ দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানান।
বরাবরই পহেলা বৈশাখে ভিন্নমাত্রার অনুষ্ঠান আয়োজন করে এখানকার সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না বলে জানান আয়োজকরা। সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর আয়োজনের মধ্যে থাকছে, নাচ, গান, কবিতা আবৃত্তি, নাটক, যাত্রাপালা।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের তথ্যমতে, জেলার আট উপজেলার অর্ধশতাধিক সাংস্কৃতিক সংগঠন এবার আয়োজন করেছেন বর্ষবরণের নানা অনুষ্ঠান।
আফ/দীপ্ত সংবাদ