চলমান বন্যায় দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চল ও উত্তর–পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলায় এ পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টা পর্যন্ত দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বন্যা পরিস্থিতির সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. কামরুল হাসান।
সচিব বলেন, দেশের ১১টি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে। জেলাগুলো হলো: ফেনী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সিলেট, লক্ষ্মীপুর ও কক্সবাজার।
তিনি বলেন, এসব এলাকার ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৪৮টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৫৭ লাখ ১ হাজার ২০৪ জন। বন্যায় এ পর্যন্ত ২৩ জন মারা গেছেন।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয়েছে কুমিল্লায়। দক্ষিণপূর্বাঞ্চলের এই জেলায় বন্যায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি চট্টগ্রামে বন্যায় ৫ জন মারা গেছেন। অন্যদিকে, নোয়াখালীতে বন্যায় ৫ জন এবং কক্সবাজারে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, খাগড়াছড়ি ও লক্ষ্মীপুরে বন্যায় একজন করে মোট ৪ জন মারা গেছেন। এ ছাড়া মৌলভীবাজারে ২ জন নিখোঁজ রয়েছে।
দুর্গত এলাকায় ৬৪৫টি মেডিকেল টিম কাজ করছে জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা বলেন, এখন পর্যন্ত ৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা নগদ, শিশুখাদ্যের জন্য ৩৫ লাখ টাকা, পশুখাদ্যের জন্য ৩৫ লাখ টাকা, ২০ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল, ১৫ হাজার বস্তা শুকনা খাবার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, সোমবার পর্যন্ত ৩ হাজার ৮৩৪টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৫২৩ জন। পাশাপাশ বন্যাকবলিত এলাকা থেকে এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৯০৭টি গবাদি পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে দেওয়া হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ