এপ্রিল থেকে জুন বা বাংলা মাস চৈত্র থেকে আষাঢ় মাস পর্যন্ত বজ্রপাত বেশি হয়। বজ্রপাতে প্রাণহানীর আশঙ্কা রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বজ্রপাতে মৃত্যু বেড়েই চলেছে।
বজ্রপাতের নির্দিষ্ট সময় না থাকলেও ঝড়–বৃষ্টির সময় এর সম্ভাবনা থাকে শতভাগ। তাই কিছু নিয়ম–কানুন মেনে চললে বজ্রপাতে প্রাণহানী থেকে রক্ষা পেতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক বজ্রপাত থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়–
– বিদ্যুতের খুঁটি, লাইন এবং উঁচু জায়গা থেকে দূরে থাকুন।
– পানি থেকে সরে আসুন। নৌকায় থাকলে ছাউনির নিচে প্রবেশ করুন।
– মেঘের আওয়াজ শুনলেই নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান।
– গাছের নিচে, টেলিফোন বা কোনো ধরনের সংযোগের খুঁটির পাশে দাঁড়াবেন না।
– গাড়ি থেকে বের না হয়ে ভেতরে আশ্রয় নিতে পারেন।
– ফাঁকা জায়গা, মাঠ, ক্ষেত ও যাত্রী ছাউনিতে থাকবেন না।
– পাহাড়ের চূড়া বা সমুদ্রসৈকতে অবস্থান করা ঠিক নয়।
– মুঠোফোন, কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজ ও বিদ্যুতের সুইচ বন্ধ রাখুন।
– টিনশেড বাড়ি থেকে সরে গিয়ে পাঁকা বাড়িতে অবস্থান নিতে পারেন।
– বাড়ির জানালা বন্ধ রাখুন। বজ্রপাতের সময় জানালা স্পর্শ করা যাবে না।
– বাড়ি নিরাপদ রাখতে আর্থিং সংযুক্ত রড মাটিতে স্থাপন করতে হবে।
– বাড়ির ধাতব কল, সিঁড়ির রেলিং, পাইপ ইত্যাদি স্পর্শ করা যাবে না।
– বজ্রপাতের সময় শুয়ে পড়তে হবে।
– বজ্রপাতে আহত ব্যক্তিকে স্পর্শ না করাই ভালো।
– বৃষ্টি ও মেঘের গর্জন না থামা পর্যন্ত নিরাপদে থাকা বাঞ্ছনীয়।
যূথী/দীপ্ত সংবাদ