কালবেশাখী ঝড়ে লন্ডভন্ড হয়ে যায় ফেনী। গাছ উপড়ে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বিদ্যুৎহীন গ্রামীণ জনপদের মানুষ। মহাসড়ক ও আঞ্চলিক সড়কগুলোতে যাতায়াত ব্যবস্থা সচল হলেও ছয় উপজেলার এখনো গ্রামীণ সড়কগুলো শতভাগ সচল হয়নি। শুধুমাত্র ফেনী পৌরসভার বেশীরভাগ এলাকা বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক রয়েছে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবারের কালবৈশাখী ঝড়ে ১১৭টি বৈদ্যুতিক খুঁটি, ৮৩৯ টি স্থানে তার ছিঁড়ে গেছে। ৯৭৬ টি স্থানে তারের উপর গাছ পড়েছে। ৫৮টি ট্রান্সফরমার নষ্ট হয়েছে। ৫০৯ টি মিটার ভেঙে গেছে। সোমবার ১২টার পর থেকে জেলায় শতভাগ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রাতের মধ্যে ফেনী শহরে বিদ্যুৎ আসলেও পল্লীবিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহকের মধ্যে তিন লাখ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। বহু গ্রামীণ সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। এ অবস্থার মধ্যে অসহনীয় দুর্ভোগে পড়েছে গ্রাহকরা।
বিদ্যুৎ এর পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্ক সচল না হওয়াতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে চলতি বছরের মধ্যে ফেনীতে সর্বোচ্চ ১১০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ফেনী আবহাওয়া অফিস।
ইকরামুল হক নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, কাল থেকে এখন অব্দি বিদ্যুৎ নেই। বৃষ্টি হওয়াতে গরমের পরিমাণ কম হওয়াতে কিছুটা স্বস্তি থাকলেও ফ্রীজে রাখা পচনশীল দ্রব্য নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ছেলেমেয়েরা পড়ালেখা করতে পারছেনা, লাইটে চার্জ শেষ। সবমিলিয়ে বেশ ভোগান্তিতে আছি।
দাগনভূঞা উপজেলার ওমরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা আরিফুর রহমান বলেন, বিদুৎ এর পাশাপাশি মোবাইল নেটওয়ার্কও নেই। কাল থেকে বিদুৎ না থাকাতে মোবাইল বন্ধ, লাইটে চার্জ নেই। আজ বিদ্যুৎ সচল না হলে অন্ধকারে রাত কাটাতে হবে।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করতে একাধিক টিম নিয়োগ করে কাজ করছে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি।
বিদ্যুৎ সচল হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, খুঁটিগুলো সংস্কার করতে হবে, নতুন ট্রান্সফরমার লাগাতে হবে। সবকিছু মিলিয়ে সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। যার ফলে বলা যাচ্ছেনা কখন নাগাদ বিদ্যুৎ স্বাভাবিক হবে। তবে বিদ্যুৎ বিভাগের লোকরা দ্রুত ঠিক করার জন্য কাজ করছে বলেও জানান তিনি।
মামুন/ আল/ দীপ্ত সংবাদ