মৃত্যুর ১০ বছর পরও ক্রিকেটপ্রেমিদের স্মৃতিতে অমলিন অস্ট্রেলিয়ার ফিলিপ হিউজ। ২০১৪ সালের ২৮ নভেম্বর ঘরোয়া লিগে শন অ্যাবটের এক বাউন্সার মাথায় লেগে মারা যান তিনি। মৃত্যুর সময় ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন হিউজ।
শন অ্যাবোট হয়তো এখনো স্বপ্নে দেখেন তার করা ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতির সেই বলটা, যার আঘাতে স্মৃতি হয়ে গেছেন ফিলিপ হিউজ।
২৮ নভেম্বর, শুধু একটি তারিখ নয়, বরং ২৫ থেকে ২৮ নভেম্বর, একটি দীর্ঘ শোকের সময়কাল। ক্রিকেটপ্রেমীদের স্মৃতির পাতায় বেদনাদায়ক এক অনূভুতির সাক্ষী হয়ে আছে দিনটি। ২৫ বছর বয়সী ফিল হিউজের আকস্মিক বিদায়ে মুষড়ে পড়েছিলো ক্রিকেট বিশ্ব।
শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের বিপক্ষে বল মাথায় লাগার পর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সাউথ অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ৬৩ রানে অপরাজিত হিউজ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। দ্রুত ছুটে আসেন ফিজিও ও অন্য ক্রিকেটাররা। হেলিকপ্টারে নিয়ে আসা হয় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। অ্যাম্বুলেন্সে নেয়া হয় সেন্ট ভিনসেন্ট হাসপাতালে। অস্ত্রোপচারের পর রাখা হয় লাইফ সাপোর্টে। তিনদিন কোমায় থাকার পর চলে যান না ফেরার দেশে।
হিউজের মৃত্যুতে সতীর্থরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। ২০১৪ সালের সেই শেফিল্ড শিল্ড ম্যাচে খেলা মিচেল স্টার্ক ও ট্রাভিস হেডরা এখনো খেলছেন। এমনকি সেই ম্যাচে উপস্থিত ধারাভাষ্যকার ও সতীর্থরাও এ ঘটনার ভার থেকে মুক্ত হতে পারেননি।
শখের খেলা রাগবি ছেড়ে ১২ বছর বয়সে ক্রিকেটেই স্বপ্ন বোনেন নিউ সাউথ ওয়েলসের এই ব্যাটার। পাঁচ বছর পর পাড়ি জমান সিডনিতে, সুযোগ পান অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব–১৯ বিশ্বকাপ দলে। সেখান থেকে ২০০৯ সালে সুযোগ পান জাতীয় দলে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৬ টেস্ট, ২৫ ওয়ানডে ও একটি টি–টোয়েন্টি খেলেছেন হিউজ।
হাসিব/আল