সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে আগাম ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন পটুয়াখালীর ২২ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। শুক্রবার (৬ জুন) সকালে জেলার বিভিন্ন দরবার শরীফে ঈদের জামাতে অংশ নেন মুসল্লিরা।
সকাল সাড়ে ৭টায় জেলার কলাপাড়া উপজেলার উত্তর নিশানবাড়িয়া জাহাগিরিয়া শাহ্ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ জামে মসজিদে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এরপর সকাল সাড়ে ৮টায় সদর উপজেলার বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদে দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই দুই জামাতেই বিপুল সংখ্যক মুসল্লির অংশগ্রহণ লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা কোরবানির আনুষ্ঠানিকতা পালন করেন। পশু কোরবানির পাশাপাশি দোয়া–মোনাজাতে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
জেলার সদর উপজেলার ৪টি গ্রাম, কলাপাড়ার ৮টি গ্রাম, রাঙ্গাবালির ২টি গ্রাম, গলাচিপার ৩টি গ্রাম, দুমকির ২টি গ্রাম ও বাউফল উপজেলার ৩টি গ্রামে আলাদা আলাদাভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। এসব গ্রামে ঈদের আনন্দে বিরাজ করছে।
এসব গ্রামের মানুষজন চট্টগ্রামের এলাহাবাদ দরবার শরীফের সুফিয়া ও চানটুপির অনুসারী হিসেবে পরিচিত। তারা প্রায় ১০০ বছর ধরে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিলিয়ে রোজা ও ঈদ উদযাপন করে আসছেন।
উত্তর নিশানবাড়িয়ার ষাটোর্ধ্ব মুসুল্লী সোবহান গাজী বলেন, ‘আমি ছোটবেলা থেকেই সৌদি আরবের চাঁদ দেখে পরদিন ঈদের নামাজ আদায় করি। আমার বাবা–দাদাও তাই করতেন। আজ ঈদের নামাজ শেষে দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহর শান্তি কামনায় দোয়া করেছি।‘
বদরপুর দরবার শরীফ জামে মসজিদের ইমাম সৈয়দ আরিফ বিল্লাহ মাদানী বলেন, ‘গতকাল ছিল ৯ জিলহজ্ব, আরাফার দিন। আমরা আজ ঈদের নামাজ আদায় করে বিশ্বের সব মুসলমানের শান্তি কামনায় মোনাজাত করেছি।‘
মুসল্লিদের নির্বিঘ্নে নামাজ আদায়ে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর ছিল। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।