নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে জায়গা–জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারধরে এনামুল হক (৭০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় হামলাকারি সোলায়মান ভূঁইয়ার স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। তবে ঘটনার পর থেকে পালিয়ে গেছেন ৪ হামলাকারি।
শনিবার (৩ জুন) দুপুর ১২ টার দিকে রথি গ্রাম থেকে পুলিশ নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। এরআগে বেলা ১১টার দিকে এ হামলা ও মারধরের ঘটনা ঘটে।
নিহত এনামুল হক রথি গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ির আবদুর রশিদের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভূঁইয়া বাড়ির এনামুল হকের সাথে জায়গা–জমি নিয়ে একই বাড়ির সোলায়মান ভূঁইয়ার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জেরে প্রায়সময় তাদের মধ্যে ঝগড়া হতো। একাধিকবার সোলাইমান ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী এনে এনামুল হকের পরিবারের ওপর হামলা চালায়। সবশেষ হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে কয়েকজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীকে আটক করে নিয়ে যায়। এ বিরোধের সূত্র ধরে শনিবার সকালে এনামুল হক ঘর থেকে বাজারে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হলে তার গতিরোধ করে সোলায়মান ও তার ছেলে মাসুদ। এসময় জায়গা নিয়ে পুনরায় তাদের মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। এর এক পর্যায়ে সোলায়মান, মাসুদ, মাসুদের স্ত্রী জেসমিন ও সোলায়মানের পুত্রবধূ সুমি আক্তার এনামুল হককে লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে জখম করে।
ঘটনাটি দেখতে পেয়ে এনামুল হকের পরিবারের লোকজন ও বাড়ির অন্যরা এগিয়ে আসলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে হামলাকারীরা। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে ঘরের দিকে নেওয়ার চেষ্টা করলে মাটিতে লুটে পড়ে মারা যান এনামুল হক।
সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়াউল হক বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, জায়গা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ওই ব্যক্তিকে প্রতিপক্ষের লোকজন সোলায়মান, মাসুদ, জেসমিন ও সুমি মারধর করেছে, এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও ফুটেজ আমারা পেয়েছি। নিহতের পিঠ সহ শরীরের কয়েকটি স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হামলাকারী সোলায়মানের স্ত্রীকে থানায় আনা হয়েছে। হামলাকারী চারজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।
এ.এস.এম.নাসিম/আফ/দীপ্ত নিউজ