নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে (১২) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর অবস্থায় ঔ ছাত্রীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বুধবার (১০ মে) দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার জিলতলী ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগির মা জানান, বুধবার সকাল পৌনে ১১ টায় তাদের বাড়ির পার্শ্ববর্তী দরজি বাড়ির নুর নবীর ছেলে শামছু উদ্দিন (৩০) তাদের ঘরের মুঠোফোনে কল করে। এসময় তার ছোট মেয়ে (ভিকটিম) ফোন রিসিভ করলে সে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ছেলেটির প্রস্তাবে রাজি না হয়ে ফোন কেটে দেয় সে। এরপর, বেলা ১২ টার দিকে বাড়ির সামনের দোকানে আইসক্রিম ও ট্যাংক কিনতে গেলে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা শামছু উদ্দিন তাকে জোরপূর্বক তুলে পার্শ্ববর্তী একটি কবরস্থানের উপর নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। পরে তাকে উদ্ধার করে সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন,’আমার তিন মেয়ে। এই মেয়েটি সবার ছোট। সে স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ষষ্ঠ শ্রেণীতে অধ্যয়নরত। আমার কোন ছেলে না থাকায় সে বিভিন্ন সময় ঘরের টুকিটাকি জিনিস কিনতে দোকানে যেতো। আমারে নিষ্পাপ মেয়েটার সাথে যে এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে আমি তার উপযুক্ত বিচার চাই।‘
অভিযুক্ত শামছু উদ্দিনের পরিবারের সদস্যরা ভুক্তভোগীর পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি–ধমকিও দিচ্ছেন বলে জানান ভুক্তভোগীর বাবা।
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসক (ইন্টার্ন) ডাঃ সজীব করিম বলেন, ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রী এখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বর্তমানে তার অবস্থা আশঙ্কামুক্ত। বৃহস্পতিবার সকালে তার মেডিকেল পরীক্ষা শেষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, বিষয়টি জানা মাত্রই হাসপাতালে ভুক্তভোগীর কাছে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগীর পরিবারের দেয়া অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আল/দীপ্ত সংবাদ