নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত ভোটারদের মধ্যে আস্থা বাড়ালেও প্রার্থীরা সংযত না হলে সহিংসতার আশংঙ্কা থেকে যায় বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
তবে এমন সিদ্ধান্ত সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে কমিশনের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ বলেও মনে করছেন তারা।
রাজনৈতিক মহলে নানা আলোচনার পর গত সোমবার (১১ ডিসেম্বর) সিইসির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার জানান, রাষ্ট্রপতির সায় থাকলে ২৯ ডিসেম্বর থেকেই মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
এ সিদ্ধান্তে স্বস্তি বেড়েছে প্রার্থীদের মধ্যে। তারা বলছেন, ভোটারদের কেন্দ্রে আনতে এটি সহায়ক ভূমিকা হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর নানা উদ্যোগের মধ্যে সেনা মোতায়েন গুরুত্ব বহন করে। আইন ও সালিস কেন্দ্রের পরিসংখ্যান বলছে, নির্বাচনী বছর ২০১৪ সালে মৃত্যু হয় ১৪৭ জনের, আর ২০১৮ সালে প্রাণ হারায় ৬৭ জন।
বিগত পাঁচ নির্বাচনী বছরে সহিংসতায় মৃত্যুর সংখ্যাৎ:
১৯৯৬ সালে প্রাণ হারায় ৪৯ জন
২০০১ সালে প্রাণ হারায় ৩৮ জন
২০০৮ সালে কোন সহিংসতা ঘটেনি
২০১৪ সালে প্রাণ হারায় ১৪৭ জন
২০১৮ সালে প্রাণ হারায় ৬৭ জন
সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন তারা।
এসএ/দীপ্ত নিউজ