বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দূর্নীতি করে দেশকে রসাতলে নিয়ে যাচ্ছে সরকার। আবারও একতরফা নির্বাচনের পায়তারা করছে সরকার। দেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে। নেতাকর্মীদের সাজা দেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ সফল করতে যৌথ সভা শেষে সংবাদ সম্মেলন এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে ৪৭ টা মামলা ১২ হাজার আসামি। আইনজীবী ভবন উদ্বোধন করতে গিয়ে বিচারাদিন মামলা হস্তক্ষেপ করতে পারেননা। শেখ হাসিনার বক্তব্য পরিষ্কার হয়ে গেছে আদেশ দিয়ে বিচারবিভাগকে প্রভাবিত করছে সরকার। ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকার। বিরোধী দলের দাবিকে স্তব্ধ করার জন্য নির্যাতন নিপীড়ন শুরু করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি অর্থণীতি ভেঙে পড়েছে। ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আদালতকে ব্যবহার করছে সরকার। এক দফা দাবি আদায়ে বিএনপি আন্দোলন করছে। নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে দাবি।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, এ সরকার ক্ষমতায় থাকলে নির্বাচন সুষ্ঠু হবেনা। দেশের মানুষ পরিবর্তন চায় এ সরকারকে আর দেখতে চায়না। আন্দোলন দানা বেধে উঠছে রাস্তায় নেমে আসছে মানুষ। ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে মানুষ তাদের দাবি আদায় করবে। বিএনপির দ্বারা এখনো কোন বিশৃঙ্খলা হয়নি। নতুন করে গায়েবি মামলা দেয়া শুরু করেছে। সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে মামলা দেয়া হচ্ছে। হুমকি দিচ্ছেন। ২৮ তারিখের সমাবেশ শান্তিপূর্ণ সমাবেশ, সারাদেশ থেকে মানুষ এসে তাদের দাবি জানিয়ে যাবেন। অহেতুক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহবান জানান তিনি।
নয়াপল্টনে ২৮ তারিখের সমাবেশ নিয়ে ফখরুল বলেন, নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মহাসমাবেশ করার জন্য পুলিশের কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামীলীগ চায়না বিরোধী দল নির্বাচন আসুক। জনগন সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা। সরকার প্রতিটি পদক্ষেপ হচ্ছে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করা একদলীয় বাকশাল কায়েম করতে চায়। বসে পরার কথা অপপ্রচার, সমাবেশ করে সবাই বাড়ি চলে যাবে। বিএনপিকে নিমূল করার বহু চেষ্টা করা হয়েছে এখনো যায়নি। বিএনপি ফ্যানিক্স পাখির মতো যত নির্যাতন করেন ততই জেগে উঠবে বিএনপি। এবারে জনগণের বিজয় হবে। সময় শেষ পালাবার পথ খুঁজে পাবেনা সরকার। এ অধিবেশনেই সরকারের শেষ অধিবেশন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ ভুলু, বিএনপি মহাসচিব ব্যারিষ্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সলাম প্রমুখ।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ