যে নির্বাচনে ২৮টি রাজনৈতিক দল ও প্রায় ২২০০ প্রার্থী আছে সে নির্বাচন কীভাবে ভাগাভাগির নির্বাচন হয়, এমন প্রশ্ন করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, নির্বাচনের সবকিছু যথারীতি এগিয়ে চলেছে। কয়েকটি রাজনৈতিক দল উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে একে ভাগাভাগির নির্বাচন বলছে।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনে চলছে আওয়ামী লীগ। আর বিএনপি ও তার দোসররা নির্বাচন বানচালে প্রতিদিন আগুন দিচ্ছে। হরতাল– অবরোধ ডাকছে। নির্বাচন বানচালে তারা যতই বাধা দিক নির্বাচন বাধাপ্রাপ্ত হবে না।
শরিক ও মিত্রদের সঙ্গে সমঝোতা হওয়া আসনগুলোতে আওয়ামী লীগ নৌকা প্রত্যাহার করে নিবে। বলেন, নির্বাচনের পর দেশে আরব বসন্ত হবে– এমন উপাদান বাংলাদেশে নেই।
জাতীয় পার্টি নির্বাচন থেকে সরে যাবে এমন তথ্য নেই উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা আছে। এখানে কোন প্রকার অশোভন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি। আমরা বসেই আলোচনা করেছি এবং শুধুমাত্র আসন ভাগাভাগি নয়, বিএনপি নির্বাচন বয়কট, প্রতিরোধের যে ডাক দিয়েছে এটা নিয়ে নির্বাচনে আসা সমমনা দলগুলোর সবার যে ঐক্য থাকা দরকার সে বিষয়েও কথা হয়েছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের দিনকে এক বিএনপি নেতা পরাজয় দিবস বলছেন। পরাজয়তো বিএনপি ও জামাতের– পাকিস্তানের যারা দোসর। তারা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না, গণতন্ত্রে তারা বিশ্বাস করে না। ষড়যন্ত্র সহিংসতা, গুপ্ত হামলা চালিয়ে নির্বাচন বানচালে তাদের রঙ্গিন খোয়াব সফল হবে না।
আরও পড়ুন: যেসব আসনে ছাড় দিচ্ছে আ.লীগ
প্রেসব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ