২০২৩ সালের বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে কারচুরি অভিযোগে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন মুফতি ফয়জুল করীম।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল সিটি নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক ও সদর জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতে তিনি এই আবেদন করেন।
আদালত সূত্র জানা যায়, আবেদনটি আদালতে দায়ের করার পর বিচারক মো. হাসিবুল হাসান তা পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।
সৈয়দ ফয়জুল করিমের পক্ষে আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির। সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম এসময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আইনজীবী শেখ আবদুল্লাহ নাসির মেয়র ঘোষণার দাবিতে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে ফয়জুল করীমবলেন, ‘আমরা আবেদনটি আদালতে জমা দেওয়ার পর বিচারক আমাদের বক্তব্য শুনেছেন। আমরা আবেদনের পক্ষে সব যুক্তি তুলে ধরেছি। বিচারক আমাদের বক্তব্য শুনে আবেদনটি পরবর্তী আদেশের জন্য অপেক্ষমান রেখেছেন।’
মামলার আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৩ সালের ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ওই নির্বাচনে এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে আবুল খায়ের আবদুল্লাহ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে ভোটগ্রহণকালে নগরীর ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেরা খাতুন মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শনে গেলে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিমের ওপর হামলা চালায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর কর্মী–সমর্থকেরা। এতে তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছিলেন।
একই সঙ্গে নগরীর ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের জাগুয়া কলেজ কেন্দ্র থেকে ইসলামী আন্দোলন প্রার্থীর এজেন্টকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এসব বেআইনি কর্মকাণ্ড চালিয়ে দরখাস্তকারীকে (সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম) প্রাপ্ত ভোটের চাইতে কম দেখিয়ে (৩৩ হাজার ৮২৮ ভোট) পরাজিত দেখানো হয় এবং এক নম্বর প্রতিপক্ষ আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবুল খায়ের আবদুল্লাহকে ৮৭ হাজার ৮০৮ ভোট দেখিয়ে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছিল।
আবেদনে আবুল খায়ের আবদুল্লাহর নির্বাচনী ফলাফল বাতিল করে দরখাস্তকারীকে (সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম) মেয়র হিসেবে ঘোষণা করার আদেশ প্রদানের জন্য আবদেন করা হয়। একইসঙ্গে মামলার ব্যয় ভাবি সুদসহ প্রতিপক্ষের প্রতিকূলে ডিক্রি দেওয়ারও আবেদন করা হয়।
জুয়েল/ইএ/এজে