নিজেকে কৃষক দাবি করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (১৩ মার্চ) বিকেলে গণভবনে কাতার সফর প্রসঙ্গে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে ‘চলনবিলে ফসলি জমি নষ্ট করে মাছ চাষ হচ্ছে’ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক তথ্যের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী বলেন ‘ আমি নিজেও একজন কৃষক’।
তিনি তাঁর সরকারি বাসভবন গণভবনের অব্যবহৃত প্রতি ইঞ্চি জমি কাজে লাগিয়েছেন। গ্রামের গৃহস্তবাড়ির মতো পুরো গণভবনকে প্রায় একটি খামার বাড়িতে পরিণত করে সৃষ্টি করেছেন এক বিরল উদাহরণ। গণভবনের বিশাল আঙ্গিনায় হাঁস-মুরগী, কবুতর, গরু পালনের পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের ধান, শাক-সবজি, ফুল-ফল, মধু ও মাছ চাষ করছেন। তিল-সরিষার মতো পেঁয়াজও চাষ করেছেন এদেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা।
গণভবন আঙ্গিণায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঁশফুল, পোলাওয়ের চাল, লাল চালসহ বিভিন্ন জাতের ধান, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, পালং শাক, ধনেপাতা, গ্রাম-বাংলার জনপ্রিয় বতুয়া শাক, বরোকলি, টমেটো, লাউ, সিমসহ প্রায় সব ধরনের শীতকালীন শাক-সবজি চাষ করছেন।
এছাড়া, গণভবনে তিল, সরিষা, সরিষা ক্ষেতে মৌমাছি পালনের মাধ্যমে মধু আহরোণ, হলুদ, মরিচ, পেঁয়াজ, তেজপাতাসহ বিভিন্ন ধরনের মশলা; আম, কাঁঠাল, কলা, লিচু, বরই, ড্রাগন, স্ট্রবেরিসহ বিভিন্ন ধরনের ফল, গোলাপ, সূর্যমুখী, গাঁদা, কৃষ্ণচুড়াসহ বিভিন্ন ধরনের ফুলেরও চাষ করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অবসর পেলেই এসব তদারকিও করেন বলে গণভবন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
আল/দীপ্ত