নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লার দেওভোগে এক ডজনেরও বেশী মামলার আসামি আফজাল হত্যাকান্ডের ঘটনায় নিহতের বাবা এবাদুল হোসেন প্রধান বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। সেই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি পায়েল ও রিয়াজকে বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে দেওভোগ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন: দেওভোগ বাশমুলি এলাকার দূর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর প্রধান রাজু (৩৫), সোলেয়মান হোসেন ওরফে সায়মন (৩৫), রাসেল ওরফে বিয়াইস্তা রাসেল(৩০),রাসেদ (২৮), হিটলার(২৫), সফিকুল ইসলাম প্রধান (৫৫), ভোমরা রাসেল (৩০), শামীম (২৮), আমিন (১৯),বাসু (৩৫), সাজু প্রধান (৩০), কাউসার মুন্সি (৪০), সালাউদ্দিন (৪০), পায়েল প্রধান (২৫), সফিউল্লাহ শফি (৫৬),রিয়াজ প্রধান(৬০) সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জন।
পুলিশ মামলার প্রধান আসামি দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী রাজু বাহিনীর প্রধান রাজুর বাবা রিয়াজ প্রধান ও ভাই পায়েল প্রধান কে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারদের পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়ে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) সকালে নারায়নগঞ্জ জেলা আদালতে একটি মামলার হাজিরা দেওয়ার জন্য সকাল ৮টার দিকে বাসা থেকে বের হন আফজাল। রিকশায় করে দেওভোগ মাদ্রাসার পেছনে হাজি নিজামের বাড়ির সামনে যাওয়া মাত্র অভিযুক্ত আসামীরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে রাজুর নেতৃত্বে আফজালকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে কোপায়। স্বজনেরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে তাকে চিকিৎসার জন্য শহরের জেনারেল (ডিক্টোরিয়া) হাসপাতালে নিয়ে যায়। পথিমধ্যে আফজাল স্বজনদের নিকট হামলার বর্ণনা করে ঘাতকদের নাম বলে। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে মারা যান আফজাল।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফতুল্লা মডেল থানার উপপরিদর্শক হুমায়ুন কবির জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে ১৬ জনের নাম উল্লেখ্য সহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জন কে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। মামলার অপর আসামিদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এমি/দীপ্ত