সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন পে–কমিশনের সিদ্ধান্ত আগামী সরকার নেবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত এবং অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, আইএমএফ সঙ্গে আমার চূড়ান্ত কথা হবে ১৫ তারিখে। তাদের সঙ্গে কথা চলছে কিস্তি নিয়ে। চলমান ঋণ কর্মসূচির ৬ষ্ঠ কিস্তির অর্থছাড়ের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করবে। আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে আইএমএফ আরেকটি মিশন বাংলাদেশে এসে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
তিনি বলেন, তাদের কিছু পরামর্শও আছে, যেমন রাজস্ব আয় বাড়াতে হবে, সেই সঙ্গে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যয় বাড়াতে হবে।
উপদেষ্টা বলেন, আগামী সরকারকে আইএমএফ ঋণ, সংস্কারের শর্তসহ সব বিষয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ ধারণা তৈরি করে দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, সংস্কার শেষ করে ফেলব সেটা তো না, সংস্থা তো শেষ করা যাবে না। সংস্কার তো একটা কন্টিনিউ প্রসেস। আমাদের কাছে যেসব তথ্য আছে তা আগামী সরকারের কাছে প্যাকেজ আকারে দেয়া হবে।
‘বাজার পরিস্থিতি সন্তোষজনক‘ মন্তব্য করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ইউরিয়া ও টিএসপি সার এবং সেদ্ধ চাল আমদানি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সামগ্রিকভাবে খাদ্যের দাম মানুষের নাগালের মধ্যে আনার চেষ্টা করছে সরকার।
উল্লেখ্য, গত ২৭ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতন কাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়। এই কমিশনের প্রধান সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম–সহায়ক ফাউন্ডেশন চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খান।
২ বছরের বেশি সময় ধরে দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজমান। এতে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে। এমন প্রেক্ষাপটে নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণে নতুন পে কমিশন গঠন করা হয়। বর্তমানে ২০১৫ সালের পে স্কেল অনুসারে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীরা বেতন–ভাতা পান। বর্তমানে সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারী আছেন প্রায় ১৫ লাখ।
এসএ