নতুন অর্থবছরের প্রথম ১৪ দিনেই দেশে ৯৯ কোটি ৫৫ লাখ (৯৯৫ মিলিয়ন) মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। রবিবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে বলা হয়, চলমান জুলাইয়ের দুই সপ্তাহে দৈনিক গড়ে ৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৭৭১ কোটি টাকার বেশি। এ ধারা অব্যাহত থাকলে মাস শেষে তা ২ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই মাসের প্রথম ১৪ দিনে রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১২ কোটি ৭২ লাখ মার্কিন ডলার প্রবাসী আয় এসেছে। এ ছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৮২ কোটি ৫১ লাখ ডলার, আর বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৬ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
ব্যাংকগুলো মধ্যে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় এসেছে, যার পরিমাণ ২৯ কোটি ৮৬ লাখ ৪০ হাজার ডলার।
এর আগে জুন মাসে সর্বোচ্চ ২১৯ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। যা গত তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
এদিকে সদ্যবিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ৬ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। আর ২০২১–২২ অর্থবছরে দেশে এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা সদ্যবিদায়ী ২০২২–২৩ অর্থবছরের তুলনায় ৫৭ কোটি ৮৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার কম।
সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের জুলাইতে ২০৯ কোটি ৬৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, আগস্টে ২০৩ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ১৫৩ কোটি ৯৬ লাখ ডলার, অক্টোবরে ১৫২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, নভেম্বরে ১৫৯ কোটি ৫১ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ডিসেম্বরে ১৬৯ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, জানুয়ারিতে ১৯৫ কোটি ৮৮ লাখ ৭০ হাজার ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ১৫৬ কোটি ৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার, মার্চে ২০২ কোটি ২৪ লাখ ৭০ হাজার ডলার, এপ্রিলে ১৬৮ কোটি ৪৯ লাখ ১০ হাজার ডলার, মে মাসে ১৬৯ কোটি ১৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার ও জুন মাসে এসেছে ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স।
তবে আলোচিত সময়ে এখন পর্যন্ত ৯ ব্যাংকের মাধ্যমে কোনো রেমিট্যান্স আসেনি। এর মধ্যে রয়েছে– রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং বিশেষায়িত রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক।
বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে– বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক ও সিটিজেন্স ব্যাংক। আর বিদেশি ব্যাংকের তালিকায় রয়েছে– হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া এবং উরি ব্যাংক।
আফ/দীপ্ত নিউজ