নওগাঁর রাণীনগরে এবার ধানের ভালো ফলন হলেও বাজারে বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন কৃষকরা। সরকার মোটা এবং চিকন ধানের একদর নির্ধারণ করায় চিকন ধান উৎপাদন করেও ন্যায্য দাম পচ্ছেন না বলে অভিযোগ উপজেলার প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকদের। তাই সরকারিভাবে চিকন ধানের আলাদা দর নির্ধারণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শহিদুল ইসলাম বলেন, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলায় মোট ১৯ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে জিরাশাইল, ব্রি–ধান ৯০, কাটারীভোগসহ চিকন জাতের ধান রোপণ করা হয়েছে ১৬ হাজার হেক্টর। এছাড়া মাঝারি ধরনের মোটা জাতের ধান রোপন করা হয়েছে ৩ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের ফলন ভাল হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় শতকরা ৮০ শতাংশ জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কৃষকরা জানান, আমাদের এলাকা চিকন ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। আমরা চিকন ধান উৎপাদন করে মোটা ধানের দামেও বিক্রি করতে পারছি না। সরকার সব জাতের ধানের একদর বেঁধে দিয়েছেন ১২শ টাকা মণ। কিন্তু চিকন ধানের আলাদা কোন দর নির্ধারণ করেননি। অথচ বাজারে মোটা চাল এবং চিকন চাল অনেক কম–বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। সুতরাং চিকন ধানের দর আলাদা ভাবে নির্ধারনের দাবি জানান কৃষকরা।
বাজারে চালের উচ্চ দাম থাকলেও অসাধু ব্যবসায়ীরা অধিক মুনাফার আশায় কৃষকদের ঠকাচ্ছেন বলে দাবি কৃষকদের।
উপজেলা ধান–চাল ক্রয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাদাত হুসেইন বলেন, উৎপাদিত মোটা এবং চিকন ধানের আলাদা দর নিয়ে ক্রয় কমিটির সঙ্গে আলোচনা করে এমপি এবং জেলা প্রশাসককে কৃষকদের দাবির বিষয়টি জানানো হবে।
এমি/দীপ্ত সংবাদ