ইসরায়েলি হামলায় নিজের ঘর ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়ার পরও সেই ধ্বংসস্তুপের নিচেই ফজরের নামাজ আদায় করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনির উপদেষ্টা আলি শামখানি।
স্থানীয় সময় রবিবার (২৯ জুন) ইরান স্টেট টিভি–কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এমন অভিজ্ঞতার কথা জানান।
শামখানি বলেন, “ফজরের কিছুটা আগে আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ আমার ঘরটা ভেঙে পড়ে, কনক্রিটের নিচে চাপা পড়ে যাই। তিন ঘণ্টা ধ্বংসস্তুপের নিচে ছিলাম। প্রথমে ভেবেছিলাম ভূমিকম্প হয়েছে। পরে পায়ের ধাক্কায় একটু জায়গা করে নিয়ে ফজরের নামাজ আদায় করি। আল্লাহর সাহায্য চাই, কারণ তিনি ছাড়া কেউ আমাকে বাঁচাতে পারবে না।“
তিনি আরও বলেন, “গাড়ির শব্দ শুনে বুঝলাম এটি ভূমিকম্প নয়, ইসরায়েলের হামলা। আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি, একটুও ভয় পাইনি। জীবনে তিনবার মৃত্যুর মুখোমুখি হয়েছি—একবার ইসলামি বিপ্লবের আগে, একবার ইরান–ইরাক যুদ্ধে, আর এবার। প্রতিবার আল্লাহ জীবন বাঁচিয়েছেন।“
খামেনির উপদেষ্টা বলেন, “ইসরায়েল কেন আমাকে লক্ষ্য করল, সেটা তারা জানে, আমিও জানি। তবে তা প্রকাশ করা যাবে না। অতীতে আমি তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছি। শহিদ হওয়া সহযোদ্ধারা ছিলেন আমার বন্ধু ও পরামর্শদাতা। হামলার আশঙ্কা আগে থেকেই ছিল। তাই সর্বোচ্চ নেতার নির্দেশে পরিকল্পনা তৈরি ছিল, কীভাবে তা মোকাবিলা করতে হবে।“
তিনি আরও বলেন, “আলোচনা মানে কোনো সমঝোতা নয়। ওরা আলোচনা চায়, যাতে দেশের ভেতরের পরিবেশ ঘোলাটে করে বিক্ষোভ উসকে দেওয়া যায়। কিন্তু ইরানিরা এখন সচেতন।“
ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়া প্রসঙ্গে খামেনির উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের পাল্টা হামলার পর পশ্চিমা গণমাধ্যমের ক্ষোভ দেখে বোঝা গেছে, আমরা সঠিক জায়গায় আঘাত করেছি। ‘অপারেশন ট্র প্রমিস থ্রি’ কোনো আবেগপ্রবণ পদক্ষেপ নয়, ছিল নিখুঁত ও পরিকল্পিত প্রতিক্রিয়া।“