রাজধানীর ধূপখোলায় বিস্ফোরণের ঘটনায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান শাওন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (৬ মে) ভোরে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া। চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি জানান, শাওনের শরীরের ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার ভোরে মৃত্য হয়েছে তার।
শাওনের বন্ধু মো. হাসান আলী জানান, শাওনের বাড়ি নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া উপজেলার রহিমানপুর গ্রামে। বর্তমানে গ্যান্ডারিয়ার ডিস্ট্রিলারী রোডের একটি মেসে থাকতেন। তার বাবার নাম আব্দুল লতিফ। মেহেদী হাসান শাওন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৯–২০ শিক্ষাবর্ষের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
হাসান আরও জানান, ঘটনার দিন কাচা বাজার করতে গিয়েছিলেন শাওন। বাজার করা শেষে বাসায় ফেরার সময় ধূপখোলা এলাকায় আসলে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে মুহূর্তেই তার শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে ড্রেনের পানিতে নেমে পড়েন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে বাঁচানো গেল না।
সোমবার (১ মে) সকাল ৯টার দিকে গেন্ডারিয়ার ধূপখোলা বাজারে মেরামতের সময় রাস্তার গ্যাস লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে নারী ও শিশুসহ ৯ জন দগ্ধ হন।
দগ্ধ অন্যরা হলেন– মুদি দোকানদার আব্দুর রহিম (৫০), তার মেয়ে মীম আক্তার (২১) ও নাতি আলিফ (২), ডিম বিক্রেতা মো. রাশেদ (৩০), শাড়ির দোকনদার আলী হোসেন (৩০), পথচারী সাহেরা বেগম (৬৫), মো. সোহেল (৪৮) ও মিজানুর রহমান (৩২)।
পরে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ জানায়, ধূপখোলা বাজারের রাস্তায় ওয়াসার ঠিকাদার পানির পাইপ স্থাপনের সময় তিতাস গ্যাসের পাইপলাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তিতাস গ্যাসের জরুরি টিম ক্ষতিগ্রস্ত পাইপলাইন মেরামতের কাজ করছে।
এফএম/দীপ্ত সংবাদ