অপরিকল্পিত নগরায়ন, অপ্রশস্ত সড়ক ও অতিরিক্ত যানবাহনের কারণে, ধীর গতির শহরে পরিণত হয়েছে খুলনা। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। এ অবস্থার অবসানে সব সংস্থার সমন্বয় দরকার বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
শহরজুড়ে চলছে ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নয়নের কাজ। তাই অনেক রাস্তা দিনের বেশির ভাগ সময় বন্ধ থাকছে। এতে কমছে যানবাহন ও মানুষের চলাচলের গতি।
৪৫ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের খুলনায় সাড়ে সাত লাখের মতো মানুষের বসবাস। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর, দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান এই শিল্পশহরে ব্যবসা–বাণিজ্যসহ নানা কর্মকাণ্ডে এসেছে চাঞ্চল্য।
গত পাঁচ বছরে ১০ হাজার ইজিবাইকের লাইসেন্স দিয়েছে সিটি করপোরেশন। কিন্তু চলছে এর তিনগুণ গাড়ি। সিটি করপোরেশনের সঙ্গে কেডিএ‘র কাজের সমন্বয় না থাকায়, সমস্যা বাড়ছে বলে মনে করেন নাগরিক সমাজের নেতারা।
তবে যানজট সহনীয় মাত্রায় রয়েছে বলে মনে করে মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ। নগরপিতা বলছেন, চলমান উন্নয়ন প্রকল্পগুলো শেষ হলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
সম্প্রতি বিশ্বের ১৫২টি দেশের ১২শর বেশি শহরে যান চলাচলের গতি নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চ। এতে সবচেয়ে ধীরগতির ২০টি শহরের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে খুলনা।
রিপন / আল / দীপ্ত সংবাদ