ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ–নবীনগর সড়ক প্রকল্পের সীমানা নির্ধারণ করে দ্রুত ভূমি অধিগ্রহণের টাকা প্রদান, সড়কের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করা ও ভূমি অধিগ্রহণের টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণের প্রতিবাদে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে আশুগঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সংগ্রাম পরিষদের উদ্যোগে উপজেলার আড়াইসিধা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে এই প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আশুগঞ্জ ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিক সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ কে এম খোরশেদুল আলমের সভাপতিত্বে বক্তৃতা করেন এ কে এম দুলাল কলেজের অধ্যক্ষ আহম্মদুল্লাহ খন্দকার, আশুগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি সেলিম পারভেজ, আশুগঞ্জ সার কারখানা কলেজের অধ্যক্ষ মো. শওকত আলী, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাদল মাদুর, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মো. ফরহাদ সরকার, বাংলাদেশ জামায়েত ইসলামী আশুগঞ্জ উপজেলা যুব বিভাগের সেক্রেটারি ডা. মোহাম্মদ খালেদ মোছান্নাহ, সাংবাদিক এইচ এম নাহিয়ান, ইউপি সদস্য মো. নজরুল ইসলাম ও আবুল খায়ের প্রমুখ।
সভায় বক্তারা ভূমি অধিগ্রহণের টাকা দ্রুত পরিশোধের দাবি জানিয়ে বলেন, টাকা না দিয়ে জোরপূর্বক রাস্তার কাজ করতে এলে ভূমি মালিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করবে। সড়কের প্রস্তাবিত সীমানা নির্ধারণ করে অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ভূমি মালিকদের টাকা পরিশোধ করা না হলে ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক আবরোধসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা। পরে সভাপতি আগামী ২৬ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেয়ার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, নবীনগরবাসীর দুর্ভোগ লাঘবে ঢাকার সঙ্গে নবীনগরের যোগাযোগব্যবস্থাকে সহজ করতে নবীনগর–আশুগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৮ সালের ১ জুলাই। প্রায় ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য এই আঞ্চলিক মহাসড়কটির নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালের জুনে। প্রকল্প প্রস্তাবে ত্রুটি থাকার কারণে প্রকল্প সংশোধন করতে হয়। ২০১৭ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি–একনেকের সভায় ৪২১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার এই মহাসড়ক নির্মাণ প্রকল্প অনুমোদন পায়। এরপর ২০১৮ সালে সড়ক নির্মাণকাজে হাত দেয় সড়ক বিভাগ। কিন্তু কাজের শুরুতে ভূমি অধিগ্র পরিমাণ সঠিক না হওয়ায় দেখা দেয় জটিলতা। এরপর ১৮৩ কোটি ৪০০ টাকা বাড়িয়ে ৬০৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকার সংশোধিত প্রকল্প প্রস্তাব পেশ করা হয়।