মুদি দোকানি আবদুল মতিনকে (৫০) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুর ফেনীর সোনাগাজীতে এ ঘটনায় মা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের জিৎপুর গ্রামের মতিনের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ, এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবার জানায়, জিৎপুর রিয়াজ স্টোরের মালিক মতিগঞ্জ ইউনিয়নের ভাদাদিয়া গ্রামের মৃত রুহুল আমিনের ছেলে আবদুল মতিন। ২৮ এপ্রিল সোমবার দিবাগত রাতে তার দোকান থেকে নগদ ২৫ হাজার ৮শ টাকা ও কয়েক কার্টন সিগারেট চুরি হয়। বুধবার সকাল ১১টায় মতিগঞ্জ তানবিন গ্রোসারিজের মালিকের কাছে ২৩ প্যাকেট সিগারেট বিক্রি করতে যান মতিনের বাড়ির অটোরিকশা চালক মো. হৃদয় (২৫)। সিগারেটগুলো কোম্পানীর দর থেকে কম দরে বিক্রি করতে চাইলে দোকানী শহীদ উল্লাহ হুমায়ুনের সন্দেহ হয়। তিনি কয়েকজন ব্যবসায়ীকে খবর দেন।
এর মধ্যে তিনি জিৎপুরের মতিনের দোকান চুরির খবর জানতে পারেন। হৃদয়কে বসিয়ে রেখে তিনি তাকে খবর দেন। খবর পেয়ে মতিন তার স্বজনদের নিয়ে শহীদের দোকানে হাজির হন। হৃদয়কে আটক করে জিৎপুরে তার দোকানের সামনে নিয়ে যান। সেখানে হৃদয়ের মা শাহানা আক্তার উপস্থিত হয়ে নিজের ছেলেকে নির্দোষ দাবি করে মতিনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় হৃদয় ও তার মা শাহানার মারধরে দোকানী মতিন মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
স্থানীয়রা তাৎক্ষণিক শাহানা আক্তার (৪০) ও তার ছেলে হৃদয়কে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। শাহানা আক্তার ভাদাদিয়া গ্রামের আবদুল মতিনের বাড়ির শহীদুল ইসলামের স্ত্রী।
সোনাগাজী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বায়েজীদ আকন ঘটনার তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনায় আইনগত প্রক্রিয়া চলমান আছে। গ্রেফতার মা ও ছেলেকে জেল হাজতে পাঠানো হবে।