রোগীর জীবন রক্ষায় ওষুধ অপরিহার্য। কিন্তু এই ওষুধের দামই বছরের শুরু থেকেই বাড়ছে হু হু করে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে দেশের বিভিন্ন কোম্পানি তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়েছে। অন্তত ২০ থেকে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে এসব ওষুধের দাম।
সবচেয়ে বেশি বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিক ট্যাবলেট, ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন ও ইনজেকশনের দাম। বিভিন্ন ওষুধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অ্যালার্জির ট্যাবলেট ফেক্সো প্রতি পাতায় বেড়েছে ১০ টাকা ও অ্যান্টিবায়োটিক সেফ–৩ প্রতিটি ট্যাবলেটের দাম ১০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৪৫ টাকা।
এছাড়া দাম বাড়ার এই তালিকায় আছে চর্মরোগ, শ্বাসনালির সংক্রমণ, উচ্চ রক্তচাপজনিত সমস্যা, হৃদরোগ, হাঁপানি, ভিটামিন এবং ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন রোগের ওষুধ। বাদ যায়নি জ্বর–সর্দির ট্যাবলেট–ক্যাপসুলও।
দাম বাড়ার কারণ হিসেবে ডলার, কাঁচামাল ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধিকেই উল্লেখ করেন ওষুধ উৎপাদকরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ বলেন, যৌক্তিক কারণে দাম বাড়তে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে কােম্পানীগুলাে বিভিন্নভাবে ব্যয় সংকােচন করলে মূল্য স্থিতিশীল রাখা সম্ভব। অতিরিক্ত এই মূল্য নিয়ন্ত্রণে একটি আলাদা কমিশন গঠন করা যেতে পারে।
ওষুধ বিক্রেতারা জানান, ধাপে ধাপে প্রায় ৫০ ধরণের ওষুধের দাম বেড়েছে। বাড়তি এই দাম ক্রেতার ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করছে।
উল্লেখ্য, ইচ্ছামতো সব ধরনের ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে সম্প্রতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ