ইফতারিতে ফল অন্যতম অনুষঙ্গ। কিন্তু মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশি–বিদেশি সব ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা। ডলারের দাম বৃদ্ধি, শুল্ক বাড়ানোসহ নানা কারণ দেখিয়ে ফলের দাম বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। যার ভুক্তভোগী নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা।
রাজধানীর বেগুনবাড়ী এলাকার তিন সন্তানের জননী নুরজাহান বেগম। স্বামী হারা নারী গৃহকর্মীর কাজ করে সংসার চালান। একটু কম দামে ফল কেনার আশায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারের বিভিন্ন দোকানে দর কষাকষি করেন। কিন্তু আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের মিল না থাকায় রোজায় ইফতারের জন্য ফল ছাড়াই বাসার পথ ধরেন তিনি।
তার মতো আরও অনেকেরই এখন এমন দুর্দশা। আগের বাড়তি দামের সঙ্গে রমজান শুরুর পর আরেক দফা বৃদ্ধি পায় ফলের দাম। যার পুরোটাই বহন করছেন ভোক্তা।
বাজার ঘুরে দেখা দেখা যায়, গত বছর একই সময়ের তুলনায় বিদেশি ফলের দাম কেজিতে বেড়েছে ১০০ থেকে দেড়শ টাকা পর্যন্ত। দেশি ফলের দামও ৪০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বাড়তি।
ইফতারের অন্যতম অনুষঙ্গ খেজুরের দাম নিয়ে এবার সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। পাশাপাশি কলা, পেঁপে, পেয়ারা ও বড়ইয়ের মতো সহজলভ্য দেশি ফলের দামও চড়া। তরমুজের সরবরাহ দেখা গেলেও দাম শুনে ক্রেতার চোখ কপালে ওঠার দশা।
বিক্রেতারা জানান, বিদেশি ফলকে বিলাসীপণ্য দেখিয়ে এবার অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় সব ফলের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশের বেশি।
আল / দীপ্ত সংবাদ