দেশে প্রথমবারের মতো রিওভাইরাস শনাক্ত করেছে ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি, ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চ (আইইডিসিআর)। তাদের শরীরে এই ভাইরাস শনাক্ত হলেও কারও অবস্থাই গুরুতর ছিল না। ২০২৪ সালে নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষ্মণ নিয়ে আসা রোগীদের পরীক্ষা করে পাঁচজনের শরীরে এটি পাওয়া যায়।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, রিওভাইরাস নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।
আইইডিসিআরের পরিচালক অধ্যাপক তাহমিনা শিরীন বলেন, ‘এটা আমরা ২০২৪ সালে পেয়েছিলাম। আক্রান্তদের মধ্যে কেউই গুরুতর অসুস্থ হননি। চিকিৎসার পর সবাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।’
শীতে খেজুরের কাঁচা রস পান করার পর প্রতিবছর অনেকেই নিপা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আসেন। যে পাঁচজনের শরীরে রিওভাইরাস পাওয়া গেছে, তারা সবাই নিপা ভাইরাস নেগেটিভ ছিল। এরা ২০২৪ সালে শনাক্ত হয়। এই রোগটি দেশে তেমন বিস্তার লাভ করেনি। দেশে এই পাঁচজনই প্রথম।
যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির সহযোগিতায় আইইডিসিআরের নিয়মিত গবেষণার মাধ্যমে ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়েছে।
যেভাবে ছড়ায় রিওভাইরাস
গবেষকরা জানান, রিওভাইরাস ছড়ায় হাঁচি–কাশির মাধ্যমে। আক্রান্ত হলে শ্বাস–প্রশ্বাসের সমস্যা, জ্বর, মাথাব্যথা, বমি ও ডায়রিয়া হতে পারে। মারাত্মক হলে নিউমোনিয়া, এমনিক এনকেফালাইটিস বা মস্তিষ্কের প্রদাহও দেখা দিতে পারে। আর এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হয় শিশু ও বয়স্করা।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা রিওভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য শীত মৌসুমে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্কদের যত্ন নেয়ার ওপরও জোর দেয়া হয়েছে।
লক্ষণ সমূহ:
ডায়রিয়া: পানিজাতীয় পাতলা মল, যা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
জ্বর: শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়।
বমি: বমি করা, বিশেষ করে খাবার খাওয়ার পর।
পেটে ব্যথা: অন্ত্রের অস্বস্তি বা পেটের ব্যথা।
শক্তি কমে যাওয়া: শরীর দুর্বল অনুভূতি বা ক্লান্তি।
প্রসঙ্গত, বিশ্বে প্রথমবার রিওভাইরাস শনাক্ত হয় ১৯৫০ সালে।