শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪
শনিবার, নভেম্বর ২৩, ২০২৪

দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে

ঝিনাইদহ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম হারুন অর রশিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আর্থিক অনিয়ম ও চরম সেচ্ছাচারিতার অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করা হয়।

চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর সরকারী এই দপ্তরটি নিজের এনজিওতে পরিণত করেছেন। সৃজনী এনজিওর প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাজমুল হুসাইন ও হিসাব রক্ষক অর্জুন কুমারকে জেলা পরিষদের অফিসে আলাদা রুমে বসিয়ে ভুয়া ও কল্পিত প্রকল্প বানিয়ে সরকারী টাকা আত্মসাৎ করছেন।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাবে জেলা পরিষদের ৭জন নির্বাচিত সদস্য যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ তুলে তার প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মোরাদিম মোস্তাকিম মনির। এ সময় পরিষেদের হরিণাকুন্ডুর সদস্য আলাউদ্দীন, কালীগঞ্জের জসিম উদ্দীন সেলিম, মহেশপুরের লিটন মিয়া, কোটচাঁদপুরের রাজিবুল কবীর, সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আনোয়ারা খাতুন ও অনিতা বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ ছাড়াই একই প্রকল্প বার বার দেখিয়ে টাকা লোপাট করছেন হারুন অর রশিদ। শহরের হামদহ মনুমেন্টের পাশে একক সিদ্ধান্তে অবৈধভাবে রাস্তার পাশে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না নিয়ে মার্কেট নির্মাণ করে অবৈধ ভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। ধোপাঘাটা ব্রীজের পূর্বপাশে মার্কেট নির্মান ও মাটি ভরাটের কথা বলে জেলা পরিষদের ১০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ২০২২২০২৩ অর্থ বছরে এডিপি এবং রাজস্ব থেকে দুস্থ্য মহিলাদের সেলাই মেশিন দেয়ার কথা বলে ১৫ থেকে ২০ লাখ টাকা ও গরীব ছাত্রছাত্রীদের বাইসাইকেল কেনার নামে প্রায় ১২ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। জেলা পরিষদের নামাজ ঘর, অফিস, ডাকবাংলো, ছাদ বাগান ও অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা দেখিয়ে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চেয়ারম্যান তার নিজ প্রতিষ্ঠান সৃজনি প্রিন্টার্স ও তাজ ফিলিং স্টেশন ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান থেকে প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত মালামাল ক্রয় দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন।

লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জেলা পরিষদ অফিস চত্বরে ০৮/১০ লাখ টাকার কাঠ নাম মাত্র মূল্য দেখিয়ে রাতের আঁধারে পাচার করেছে। গত জানুয়ারী মাসে দুঃস্থদের মাঝে বিতরণের জন্য ৬ হাজার পিচ কম্বল কেনা দেখিয়ে ১৫ লাখ টাকা পকেটস্থ করেছেন। এ ভাবে তিনি বিভিন্ন খাত থেকে লাখ লাখ টাকা লুটপাট করছেন বলে অভিযোগ করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ঝিনাইদহযশোর মহাসড়কে বিগত পরিষদের সময়কার টেন্ডারকৃত গাছের ঠিকাদারদের জিম্মি করে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন হারুন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্বেও মন্ত্রণালয়ের আদেশ উপেক্ষা করে খাল ও পুকুর একক সিদ্ধান্তে ইজারা দিয়ে সরকারী আইন ভঙ্গ করেছেন। এ ক্ষেত্রে তিনি কোন সদস্যের মতামত নেন না। বরং সদস্যদের সাদা হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর নিয়ে নিজের ইচ্ছা মত রেজুলেশন তৈরী করে রাজ্স্ব তহবিল থেকে মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণ এবং একই প্রকল্প বার বার দেখিযে টাকা উত্তোলন করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে যাচ্ছেন।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদ বলেন, কয়েকজন নির্বাচিত সদস্য তার কাছে অনৈতিক সুযোগ সুবিধা দাবী করে আসছিলো। তাদের এই সুযোগ সুবিধা না দেওয়ায় তারা আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ এনেছে। তারা সদস্যদের ভয়ভীতি ও দেখিয়ে সংবাদ সম্মেলনের হাজির করেছে।

 

মোরশেদ আলম/দীপ্ত নিউজ

আরও পড়ুন

সম্পাদক: এস এম আকাশ

অনুসরণ করুন

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন

স্বত্ব © ২০২৩ কাজী মিডিয়া লিমিটেড

Designed and Developed by Nusratech Pte Ltd.

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More