শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫
শুক্রবার, নভেম্বর ১৪, ২০২৫

দুই দশকে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

দেশে গত দুই দশকে সিজারিয়ান ডেলিভারি বেড়েছে ৪৭ শতাংশ। গত এক বছরে এ হার ৯ শতাংশের বেশি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মা ও শিশুর সুস্থতার জন্য সিজার করা করতে হয়। আবার অনেক মা ইচ্ছে করেই জন্মদানের এই পদ্ধতি বেছে নেন।

রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন মহাখালীর রসুলবাগের বাসিন্দা সুখি। শারীরিক সমস্যার কারণে সিজারিয়ান করতে হয় তার।

সুখি জানান, চিকিৎসকের পরামর্শে অপারেশন করেছি। এখন ভালো আছি।

সরকারি হাসপাতালে শিশুর জন্ম স্বাভাবিকভাবে হলেও সিজারের সংখ্যাও নেহাত কম না। সরেজমিনে দেখা যায়, একটি ওয়ার্ডে সিজারিয়ান রোগীর সংখ্যাই বেশি।

সম্প্রতি বিবিএস প্রকাশিত বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স২০২৩ এর প্রতিবেদনে দেখা যায়, প্রতি দুজনের মধ্যে একজন মা সিজারের মাধ্যমে শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। ২০২৩ সালে দেশে সিজারিয়ান ডেলিভারির হার ৫০ দশমিক ৭ শতাংশ। তার আগের বছর এই হার ছিল ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। গত দুই দশকে এই হার ৪৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সিজারের মাধ্যমে শিশু জন্ম হতে পারে সর্বােচ্চ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) গাইনিঅনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর শিরিন আক্তার বেগম বলেন, মা ও শিশুর মৃত্যুহার এড়াতে সিজারিয়ান অপারেশন করতে হয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এর অপব্যবহার লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

তবে শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থে সিজার হয় এমন অভিযোগ মানতে নারাজ মুগদা মেডিকেল কলেজের গাইনী বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফাহমিদা নাজ মুস্তাফা। তিনি বলেন, সব সিজারিয়ান অপারেশনই ব্যবসায়িক স্বার্থ হয় না। রোগীর সব কিছু বিবেচনা নিয়ে একজন চিকিৎসক অপারেশনের সিদ্ধান্ত দেন।

আল / দীপ্ত সংবাদ

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More