টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ভারতের অধিনায়ক লোকেশ রাহুল। এই ম্যাচে চোটের জন্য খেলতে পারছেন না রোহিত শর্মা। তাঁর জায়গায় অধিনায়ক রাহুল। চট্টগ্রামের ব্যাটিং সহায়ক পিচে তাঁর সঙ্গে ওপেনার হিসাবে নেমেছিলেন শুভমন গিল। কিন্তু তাঁরা মাত্র ৪১ রানের জুটি গড়েন। তাইজুলের বলে প্যাডেল সুইপ মারতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন শুভমন। ৪০ বলে ২০ রান করে সাজঘরে তিনি। ব্যাটের উপরের দিকে বল লেগে ক্যাচ উঠে যায়।
বেশি ক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি রাহুলও। ভারতের অধিনায়ক মাত্র ২২ রান করে বোল্ড হয়ে যান। খালেদ আহমেদের বল অফস্টাম্পের বাইরে ছিল। পয়েন্টের দিকে খেলতে গিয়েছিলেন রাহুল। কিন্তু ব্যাটে লেগে বল ভিতরে ঢুকে এসে উইকেট ভেঙে দেয়।
দুই ওপেনার ফেরার পর ভারতের হয়ে বড় রান তোলার দায়িত্ব ছিল চেতেশ্বর পুজারা এবং বিরাটের। কিন্তু শেষ এক দিনের ম্যাচে শতরান করা বিরাট এ দিন মাত্র ১ রান করলেন। তাইজুলের বলে এলবিডব্লিউ হন তিনি।
দলীয় অর্ধশতক পূরণের আগেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটারকে হারিয়ে কিছুটা হলেও চাপে পড়েছিল ভারত। তবে ঋষভ পান্তের কাউন্টার অ্যাটাকে আবারও খেলায় ফেরে তারা। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলেছেন এই উইকেটকিপার ব্যাটার। তার এমন ব্যাটিংয়ে ৩ উইকেটে ৮৫ রান তোলে লাঞ্চ বিরতিতে যায় ভারত।
লাঞ্চ বিরতি থেকে ফিরেও একই গতিতে রান তুলছিলেন পান্ত।মিরাজকে ছক্কা মেরে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে সবচেয়ে কম ইনিংস খেলে ৫০ ছক্কার মাইলফলক স্পর্শ করেবন পান্ত। তবে পরের বলেই প্রতিশোধ নিয়েছেন মিরাজ। এই ডানহাতি স্পিনারের অফ স্ট্যাম্পের বাইরের বলে কভার ড্রাইভ করতে গিয়ে ইনসাইড এইডজে বোল্ড হয়েছেন পান্ত।
পান্তের বিদায়ের পর দারুণ এক জুটি গড়েন শ্রেয়াস আইয়ার এবং পূজারা। বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিং আর ভাগ্যের সহায়তায় তিনবার জীবন পেয়েছে আইয়ার-পূজারা জুটি। অবশেষে পূজারাকে বোল্ড করে এই জুটি ভেঙ্গেছেন তাইজুল। পূজারা সাজঘরে ফিরেছেন নার্ভাস নাইন্টিতে। আর দিনের শেষ বলে অক্ষরকে ফিরিয়ে শেষটা মধুর করেছেন মিরাজ।
দিনশেষে ৯০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান তোলেছে ভারত। আইয়ার অপরাজিত আছেন ৮২ রান নিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে ৮৪ রানে ৩ উইকেট শিকার করে দিনের সেরা বোলার তাইজুল।