আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মির্জা ফখরুলের মর্মবেদনা আমরা বুঝি! প্রকৃতপক্ষে বিএনপির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে মির্জা ফখরুলদের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। সুদূর লন্ডন থেকে যে ওহি নাযিল হয়, যে সিদ্ধান্ত আসে মুখ বন্ধ করে তা মেনে নিতে বাধ্য হন ফখরুলরা। দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামির প্রেসক্রিপশনে পরিচালিত হয় বিএনপি।
শুক্রবার (২৪ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক বক্তব্যকে ‘মিথ্যাচার এবং অসত্য, মনগড়া ও বানোয়াট’ আখ্যা দিয়ে এর নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘মির্জা ফখরুলের মুখে ব্যক্তি ও মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতার কথা ভূতের মুখে রাম নাম ছাড়া কিছু নয়! কারণ বিএনপি কখনোই মানুষের বাক-স্বাধীনতা ও জনমতকে ধারণ করেনি। বিএনপির জন্মই হয়েছিল বন্দুকের নলের মুখে জনগণকে জিম্মি করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের মধ্য দিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপিতে অগণতান্ত্রিক ও অগঠনতান্ত্রিকভাবে কমিটি ভাঙে–গড়ে, বহিষ্কার–পুরস্কার নির্ধারিত হয় এবং কমিটি ও মনোনয়ন নিয়ে বাণিজ্য চলে। আয়নার সামনে নিজের অসহায়–নিরুপায় ও পরাধীন চেহারা দেখতে দেখতে বিএনপি মহাসচিব জনগণের বাক–স্বাধীনতাকে ওই একই ফ্রেমে বন্দি করে ফেলেছেন! তাই মির্জা ফখরুল তোতা পাখির মতো সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গারে লিপ্ত থাকেন।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের বাক–স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অবাধ সুযোগ প্রতিষ্ঠায় অবিরাম আন্দোলন–সংগ্রাম চালিয়ে আসছে। সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার সুদক্ষ নেতৃত্বে বাংলাদেশে মানুষের বাক, ব্যক্তি ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সুসংহত হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে মতপ্রকাশের অনিরুদ্ধ দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এই সুযোগের অপব্যবহার করে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি নেতারা প্রতিনিয়ত চিরায়ত ভঙ্গিতে সরকারের বিরুদ্ধে নিলর্জ্জভাবে মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন। শুধু বাক–স্বাধীনতা ভোগ করাই নয়, নিজেদের ইচ্ছা মতো মনগড়া অপপ্রচার চালাতেও তারা কুণ্ঠাবোধ করেন না।’
এফএম/দীপ্ত সংবাদ