চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় দুটি সিংহ এসেছে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে। বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) রাতে বাদশাহ–নোভার উত্তরসূরি হিসেবে এ দুটি সিংহ আনা হয়েছে। একই সঙ্গে চার জোড়া ‘ওয়াইল্ড বিস্ট’ ও আনা হয়েছে ।
চিড়িয়াখানার ডেপুটি কিউরেটর ও চিকিৎসক শাহাদাত হোসেন শুভ জানান, এসব প্রাণী আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ফ্যালকন ট্রেডার্সের অধীনে ১৫ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকবে। এরপর সুস্থতা সাপেক্ষে সেগুলো বুঝে নেয়া হবে।
এরমধ্যে যেকোনো কিছুর দায়িত্ব আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের। চিড়িয়াখানার নিজস্ব তহবিল থেকে এক কোটি ৬৯ লাখ টাকা ব্যয়ে সিংহসহ পাঁচ ধরনের প্রাণী কেনার প্রকল্পের অংশ হিসেবে এল এগুলো। এর আগে ২০২২ সালের অক্টোবরে প্রথম দফায় নেদারল্যান্ডস থেকে তিন জোড়া করে ক্যাঙ্গারু ও লামা আনা হয়। শেষ ধাপে বৃহস্পতিবার রাতে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে এক জোড়া সিংহ ও চার জোড়া ওয়াইল্ড বিস্ট আনা হয়।
গত সাত বছর আগে ধুমধাম করে বিয়ে দেয়া হয় চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার সিংহ জুটি বাদশাহ–নোভার। তবে এখনো বংশ বাড়েনি এ জুটির। এছাড়া প্রাণী দুটি তাদের গড় আয়ুর শেষ প্রান্তে থাকায় এ দম্পতির নিজস্ব উত্তরসূরি আসার সম্ভাবনাও কমতে থাকার কথা জানিয়েছিল চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া সিংহরা সাধারণত ১৫ থেকে ১৭ বছর বাঁচে। যে কারণে ২০২১ সালে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ে চিড়িয়াখানার জন্য নতুন সিংহ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়।
তবে বছর গড়ালেও সে চিঠির সাড়া না মেলায় ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে সিংহ কেনার উদ্যোগ নেয় চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। নগরীর একমাত্র এ চিড়িয়াখানায় বর্তমানে প্রায় ৭৩ প্রজাতির ছয় শতাধিক পশু–পাখির মধ্যে এ সিংহ জুটির বয়স ১৮ বছরেরও বেশি। তবে গত কয়েকবছরে চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বাঘসহ বিভিন্ন প্রাণী একাধিকবার শাবক প্রসব করলেও সিংহ–সিংহীর বেলায় তা হয়নি।
যূথী/ দীপ্ত সংবাদ