তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়েছে। এর মধ্য তুরস্কে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। দেশটিতে আহত হয়েছে ৮০ হাজার ৫২ জন। আর সিরিয়ায় মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে তিন হাজার ৫০০ জন।
সময়ের সাথে ক্ষীণ হয়ে আসছে, তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা। উদ্ধারকাজে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে তীব্র ঠান্ডা ও বৃষ্টি। এদিকে ভূমিকম্পের পর তুরস্কে উদ্ধার তৎপরতায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা। ধীরগতির পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত অনেক এলাকায় পর্যাপ্ত ত্রাণসহায়তা পৌঁছায়নি বলেও অভিযোগ তাদের।
লাখ লাখ বাস্ত্যচ্যুত রাত কাটাচ্ছে খোলা আকাশের নিচে। দেখা দিয়েছে খাবার পানি সংকট। সিরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে লাখ লাখ শিশুর জন্য জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য ও গরম কাপড় প্রয়োজন বলে জানিয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেন।
এদিকে সিরিয়ার আল’তৌল গ্রামে ভূমিকম্প ও ভারি বৃষ্টির কারণে নদীর পানি বেড়ে প্রবল বন্যা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে গ্রামটির কাছাকাছি একটি ছোট বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় বিভিন্ন এলাকা।
ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় তুরস্ককে ১ দশমিক সাত আট বিলিয়ন ডলার দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিশ্ব ব্যাংক। আর ৮৫ মিলিয়ন ডলারের ত্রাণ সহায়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া তুরস্কের ভূমিকম্প দুর্গতদের সহায়তায় নিজেদের এক মাসের বেতন দান করার ঘোষণা দিয়েছেন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই।