তুরস্ক ও সিরিয়ায় ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ১৬ হাজার ছাড়িয়েছে। শুধু তুরস্কেই ১২ হাজার ৩৯১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর সিরিয়ার সরকার ও বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকাগুলোতে মারা গেছেন প্রায় চার হাজার বেশি মানুষ।
চারিদিকে ধ্বংসস্তূপ। আটকা পড়ে আছে অসংখ্য মানুষ। তাদের বাঁচার আকুতি আর স্বজনদের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে আছে তুরস্ক ও সিরিয়ার বিভিন্ন এলাকা। ধ্বংসস্তূপের পাশে অপেক্ষা করছেন আটকেপড়া ব্যক্তিদের স্বজনরা। তাদের আশা, স্বজনদের হয়তো জীবিত উদ্ধার করা যাবে।
আলেপ্পোর বাসিন্দারা বলেন “সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ ভূমিকম্পের সময় আমার শাশুড়ি এবং চার সন্তান বাড়িতে ছিল না। তবে, আমার শ্যালক এবং আমার ৭ বছর বয়সী ছেলে আমর এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে।” ভূমিকম্পের পর আমরা সবাই রাস্তায় নেমে আসি। কোথায় যাবো কিছুই বুঝতে পারছি না। চারিদিকে হাহাকার। উদ্ধার কার্যক্রম চলছে। যারা পরিবার হারাচ্ছে তাদেরকে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।”
তীব্র শীত আর প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে তুরস্ক ও সিরিয়ায় ধ্বংসস্তুপের ভেতর থেকে জীবিতদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তুরস্কের ১০টি প্রদেশে তিন মাসের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান।
তুরস্ক প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান জানান ” এখন পর্যন্ত ৭০টি দেশ এবং ১৪টি আন্তর্জাতিক সংস্থা সাহায্যের প্রস্তাব দিয়েছে। ১৮ জন রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানের সাথে কথা বলেছি। ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্য করতে তুর্কিয়ের নাগরিক এবং ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার প্রতি আহ্বান জানিয়েছি।”
এদিকে, তুরস্কের কাহরামানমারাস সুতচু ইমাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশি শিক্ষার্থী গোলাম সাইদ রিংকুকে ধ্বংসস্তূপ থেকে ৩৭ ঘণ্টা পর জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।