শেষ বিকেলে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ। বল হাতে রীতিমত ঘূর্ণি জাদু দেখিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ১৬তম ফাইফার (৫ উইকেট)।
প্রথম সেশনে ২ উইকেটে ৮৯ রান জিম্বাবুয়ের। দ্বিতীয় সেশনে উইকেটেরই দেখা পায়নি বাংলাদেশ। একটা সময় ২ উইকেটেই ১৭৭ রান তুলে ফেলেছিল সফরকারী দল। চোখ রাঙানি দিচ্ছিল বড় সংগ্রহের। সেখান থেকে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ালো টাইগাররা।
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ইনিংসে ৯ উইকেটে ২২৭ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে জিম্বাবুয়ে।
চট্টগ্রামে সকাল থেকে বেশ দারুণভাবেই বাংলাদেশের বোলিং সামলেছে বেনেট–বেন কারেন জুটি। দুজনে রান তুলেছেন ওভারপ্রতি ৪ করে। বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন তানজিম সাকিব। এই পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরে থাকা বল কাট করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন বেনেট। ততক্ষণে এই জুটি থেকে আসে ৪১ রান।
দলীয় ৭২ রানে বাংলাদেশ তুলে নেয় ২য় উইকেট। তাইজুল ইসলাম ফেরান বেন কারেনকে। ৫০ বলে ২১ রান করে ফেরেন এই ওপেনার।
৭২ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতনের পর দারুণ এক জুটি গড়ে জিম্বাবুয়ে। তৃতীয় উইকেট জুটিতে নিক ওয়েলচের সঙ্গে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেন শন উইলিয়ামস। দুজনে মিলে ৯০ রান যোগ করার পর রিটায়ার্ড হয়ে মাঠের বাইরে যান ওয়েলচ। তার আগেই অবশ্য ব্যাক্তিগত ফিফটি তুলে নেন তিনি। ১৩১ বলে করেন অপরাজিত ৫৪ রান।
ওয়েলচ মাঠের বাইরে যাওয়ায় তৃতীয় উইকেটে উইলিয়ামসের সঙ্গে যোগ দেন ক্রেগ আরভিন। অভিজ্ঞ এই ব্যাটার বেশিক্ষণ উইকেটে টিকতে পারেননি। ৩১ বল খেলে ৫ রান করেছেন। আরভিনকে জাকের আলির ক্যাচ বানিয়ে লাঞ্চের পর প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন নাঈম হাসান।
নিজের পরের ওভারে এসে আবারো উইকেটের দেখা পান নাঈম। এই অফ স্পিনারের করা লেগ স্টাম্পের বাইরের এক বলে সুইপ করতে গিয়ে লেগ স্লিপের হাতের ধরা পড়েন শন উইলিয়ামস। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১৬৬ বলে ৬৭ রান।
শেষ বিকেলে রোডেশিয়ানদের কঠিন পরিক্ষায় ফেলেন তাইজুলরা। ১৫ রান করা মাদেভেরেকেও ফিরিয়েছনে এই বাঁহাতি স্পিনার। তাতে ২০০ রানেই ৫ উইকেট হারায় জিম্বাবুয়ে। এরপর ৮১তম ওভারে পরপর দুই বলে উইকেট নিয়েছেন তাইজুল। চতুর্থ বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন। আর পরের বলে রিচার্ড এনগারাভাকে বোল্ড করেন তাইজুল।
তাফাজওয়া টিসিগার সঙ্গে দুই রান নিতে গিয়ে মিরাজের থ্রোতে ননস্ট্রাইক এন্ডে রানআউট হন ভিনসেন্ট মাসেকেসা (৮)। অষ্টম উইকেট পতনের পর মাঠে আসেন এর আগে রিটায়ার্ড হার্ট হওয়া নিক ওয়েলচ। কিন্তু এবার আর টিকতে পারেননি তিনি। তাইজুলের ঘূর্ণিতে বোল্ড হয়ে ফেরেন ওয়েলচ (৫৪)।
আল