ঈদের দিন যেখানে গোটা দেশ ঈদের আনন্দে মত্ত, সেখানে ব্যতিক্রম বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। ঈদের ছুটির দিনেও টানা কাজের চাপে বিরামহীন সময় পার করছেন বাফুফের কর্মকর্তা ও কর্মীরা। কারণ, একদিকে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতি, অন্যদিকে সফরকারী দলের আগমন ও বিদায়ের ব্যস্ততা। সবমিলিয়ে ঈদের দিনটি হয়ে উঠেছে বাফুফের জন্য সর্বোচ্চ কর্মব্যস্ত একটি দিন।
শনিবার (৭ জুন) ভোরেই বাংলাদেশ ছেড়েছে ভুটান জাতীয় ফুটবল দল। আবার রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকায় পা রাখছে এশিয়ান ফুটবলের আরেক প্রতিদ্বন্দ্বী সিঙ্গাপুর। আগামী ১০ জুন ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে স্বাগতিক বাংলাদেশের মুখোমুখি হবে সফরকারী দলটি।
বাফুফে সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাপুর দলটি ৪২ সদস্যের বিশাল বহর নিয়ে ঢাকা আসছে। তাদের মধ্যে ২৩ জন চূড়ান্ত স্কোয়াডের ফুটবলার, আর বাকি ১৯ জন টেকনিক্যাল স্টাফ ও কর্মকর্তারা। আন্তর্জাতিক ফুটবলে শক্তিশালী দেশগুলো সাধারণত এমন বিশাল টেকনিক্যাল স্টাফ নিয়েই সফর করে। যদিও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে এখনো তুলনামূলক ছোট পরিসরের কন্টিনজেন্ট নিয়েই টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার রেওয়াজ চলে আসছে।
সিঙ্গাপুর দলের ম্যানেজার ঢাকায় এসেছেন আরও আগে। তিনি শনিবার দুপুরেই অনুশীলন ও ম্যাচ ভেন্যু ঘুরে দেখেছেন। দলের জন্য উত্তরার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। নিয়ম অনুযায়ী, ম্যাচের একদিন আগে অর্থাৎ ৯ জুন বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুশীলনের সুযোগ পাবে সফরকারীরা।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ৪২ সদস্যের বহরের আবাসন ও অন্যান্য ব্যয়ভার বহন করতে হচ্ছে না বাফুফেকে। স্বাগতিক হিসেবে বাফুফে শুধু বাস সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সহায়তা প্রদান করবে।
প্রসঙ্গত, এশিয়ান কাপ বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে কয়েকদিন আগেই ভারতের শিলংয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেখানে মাঠ সংক্রান্ত নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়েছে জামাল ভূঁইয়ার দলকে। বিপরীতে সিঙ্গাপুর দল আন্তর্জাতিক প্রটোকল মেনে নির্ধারিত সময়ের ৪৮ ঘণ্টা আগেই ঢাকায় পৌঁছাচ্ছে।
সবমিলিয়ে বাফুফের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এবারের ঈদে ছুটি পাননি বললেই চলে। আজকের দিনেই একদিকে এক দলের বিদায়, অন্যদিকে আরেক দলের আগমন এবং জাতীয় দলের অনুশীলন মিলিয়ে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামসহ বাফুফের প্রতিটি ইউনিট ছিল ব্যস্ততায় পরিপূর্ণ। পাশাপাশি নারী ফুটবল দলের ক্যাম্প চলায় আরও কিছু কর্মকর্তা মাঠে ও ক্যাম্পে দায়িত্ব পালন করছেন।