গ্রিসে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৭ হয়েছে। এ দুর্ঘটনার জেরে চলমান বিক্ষোভ আরও সহিংস রূপ নিয়েছে।
ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার প্রতিবাদে শ্রমিক ইউনিয়ন বৃহস্পতিবার (২ মার্চ) সারা দেশে ট্রেন ধর্মঘটের ডাক দেয়৷ শুক্রবার (০৩ মার্চ) গ্রিসের রাজধানী এথেন্সের পার্লামেন্ট ভবনের সামনে বিক্ষোভে নামেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ কয়েক হাজার মানুষ।
এদিন পার্লামেন্ট ভবনের দিকে আন্দোলনকারীরা এগিয়ে গেলে তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। পাল্টা জবাবে বিক্ষোভকারীরাও ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকেন। এতে মুহূর্তেই রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ওই এলাকা।
রাজধানী এথেন্স ছাড়াও এদিন আরও কয়েকটি শহরে প্রতিবাদে নামেন সাধারণ মানুষ। ব্যানার, প্লাকার্ড হাতে স্লোগানে মুখর করে তোলেন রাজপথ।
এদিকে দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থীও রয়েছেন৷ অনেক যাত্রী আহত হয়েছেন, তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷ মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনায় এখনও অনেকে নিখোঁজ থাকায় উদ্ধারকাজ অব্যাহত রেখেছেন উদ্ধারকর্মীরা। নিখোঁজ প্রিয়জনদের খুঁজতে বিভিন্ন হাসপাতালে ভিড় করছেন স্বজনরা।
মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে লারিসা শহরের কাছে ভয়াবহ এক ট্রেন দুর্ঘটনায় ঘটে৷ সাড়ে তিনশ যাত্রী বহন করা একটি ট্রেন একই পথে আসা একটি কার্গো ট্রেনের সঙ্গে মুখোমুখি ধাক্কা খেলে অনেক বগি ছিটকে পড়ে যায়, কয়েকটি বগিতে আগুন ধরে যায়৷ এর ফলে ব্যাপক হতাহতের ঘটনা ঘটে৷
আফ/দীপ্ত সংবাদ