মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার পাঁচ দিনের এশিয়া সফর শুরু করেছেন। রবিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে তিনি এয়ারফোর্স ওয়ানে করে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
এ সময় মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। স্থানীয় শিল্পীদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য ও ড্রামের তালে স্বাগত জানানোর সময় ট্রাম্পকেও নাচে অংশ নিতে দেখা যায়।
এ সফরে ট্রাম্পের মূল লক্ষ্য হলো– দক্ষিণ–পূর্ব এশীয় দেশগুলোর জোট আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করা। পাশাপাশি, মালয়েশিয়ায় তিনি থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তি সই আয়োজনে অংশ নেবেন।
ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করে জানিয়েছেন, একটি ‘বড় শান্তিচুক্তি’ সই করার উদ্দেশ্যেই তিনি মালয়েশিয়ার পথে আছেন। মালয়েশিয়ার সঙ্গে একটি বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করারও কথা রয়েছে তার।
মালয়েশিয়া সফরের পর ট্রাম্প সোমবার (২৭ অক্টোবর) টোকিওতে জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সঙ্গে বৈঠক করবেন।
ট্রাম্পের সফরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হবে দক্ষিণ কোরিয়া। সেখানে এশিয়া–প্যাসিফিক ইকোনমিক কো–অপারেশন (এপেক) শীর্ষ সম্মেলনে তিনি চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বাণিজ্য আলোচনা করবেন। এই আলোচনায় দুই বৃহৎ অর্থনীতির মধ্যে চলমান বাণিজ্য যুদ্ধের অবসান হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। ট্রাম্প ১ নভেম্বরের মধ্যে চুক্তি না হলে চীনের ওপর আরও ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছেন।
এছাড়া, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ওয়াশিংটন ছাড়ার আগে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। কিমও নিরস্ত্রীকরণের অযৌক্তিক দাবি না তোলা হলে বৈঠকে রাজি বলে সাড়া দিয়েছেন।