কোরবানির হাট কাঁপাতে এবার ৫২ মণ ওজনের মানিক নিয়ে আসছেন টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার লাউহাটি এলাকার নারী উদ্যোক্তা হামিদা আক্তার। তবে মানিকের ওজন বেশি হওয়ায় বিক্রি নিয়ে অনেকটা দুশ্চিন্তায় আছেন তিনি। মানিককে বিক্রি করে বড় পরিসরে খামার তৈরির করে সফল নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন তার। সবার সহযোগিতা কামনা করছেন হামিদা।
চাকরি না করে নারী উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে গত ৮ বছর ধরে গরু লালনপালন শুরু করছেন করটিয়া সা’দত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাস বিভাগ থেকে অনার্স শেষ করা হামিদা আক্তার। স্বপ্ন সফল নারী উদ্যোক্তা হবেন। সেই স্বপ্ন থেকেই হামিদা গত ৮ বছর আগে দুটি গাভী ক্রয় করেন। গাভী থেকে দুটি বাচ্চা হয় তাদের নাম রাখেন মানিক ও রতন, দুবছর আগে রতনকে বিক্রি করতে পারলেও রয়ে যায় মানিক। গত বছর কোরবানির ঈদে মানিকের কাঙ্ক্ষিত দাম না হওয়ায় বিক্রি করা সম্ভব হয়নি।
বর্তমানে মানিকের ওজন প্রায় ৫২ মণ। জেলার সব চাইতে বড় ষাঁড়টিই হামিদার। এবার কোরবানিতে বিক্রি করতে দিনরাত পরিশ্রম করছেন তিনি। প্রতিদিনই সন্তান স্নেহে পরম যত্নে ষাঁড়টিকে লালন পালন করছেন। নিয়ম করে গোসল করানো, খাওয়ানো সবই করছেন হামিদা। কিন্তু দুশ্চিন্তা যেন মাথা থেকে যাচ্ছে না। এত বড় ষাঁড় ওজন প্রায় ৫২ কেজি। এবারও যদি তিনি ষাঁড়টিকে বিক্রি করতে না পারেন তাহলে স্বপ্ন যে তার অধরাই থেকে যাবে। তাই দেশের সব বিত্তবানসহ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের সহযোগী চান হামিদা।
এদিকে দানব আকৃতির ষাঁড়টি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন জায়গা থেকে ছুটে আসছেন লোকজন। তারাও এই নারী উদ্যোক্তার পাশে দাঁড়াতে বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করছেন। আগতরাও খামার করতে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা রানা মিয়া জানান, বৃহৎ আকৃতির গরু সবার কেরার সামর্থ্য থাকে না, তাই তারাও হামিদার ষাঁড়টি বিক্রি করতে অনলাইনে চেষ্টা করছেন।
নারী উদ্যোক্তা হামিদার ৫২ মণ ওজনের মানিকের দাম হাঁকিয়েছেন ১৫ লাখ টাকা।
সুমন খানআফ/দীপ্ত নিউজ