অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে জেট ফুয়েলের দাম বেড়েছে। ৫ টাকা দাম বেড়ে জেট ফুয়েলের দাম এখন ১৩০ টাকা। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) আওতাধীন পদ্মা অয়েল কোম্পানি গত বুধবার নতুন করে দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে। জেট ফুয়েলের দাম বাড়ার কারণে এখন টিকিটের জন্য যাত্রীদের অতিরিক্ত টাকা গুণতে হবে।
বিপিসি জানায়, অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইটে জেট ফুয়েলের দাম ৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। আগে প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ছিলো ১২৫ টাকা। এখন থেকে ৫ টাকা বাড়িয়ে প্রতি লিটারের দাম ১৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর থেকেই নতুন দাম কার্যকর করা হয়েছে। তবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনায় তেলের দাম কমেছে। নতুন আদেশ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক ফ্লাইট পরিচালনার জন্য প্রতি লিটার তেল কিনতে হবে ১ মার্কিন ডলারে, যা আগে ১ দশমিক ০৯ মার্কিন ডলার ছিলো।
জানা গেছে, প্রায় ২ বছরের ব্যবধানে ফুয়েলের দাম বেড়েছে ৮৫ টাকা। এর আগে ২০২০ সালের অক্টোবরে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের জন্য প্রতি লিটার জেট ফুয়েলের দাম ৪৬ টাকা নির্ধারিত ছিলো। এরপর ২০২১ সালে কয়েক দফা বাড়িয়ে তা ৭৭ টাকা করা হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারিতে দুই দফায় জেট ফুয়েলের কমানো হলেও পরবর্তীতে ধাপে ধাপে তা বাড়িয়ে ১২৫ টাকায় গিয়ে ঠেকে। একইভাবে আন্তর্জাতিক রুটের জন্য ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে জেট ফুয়েলের দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি লিটার ৫০ সেন্ট (০.৫ ডলার)। প্রায় ১৫ মাসের মধ্যেই এটি দ্বিগুণ হয়ে ১ দশমিক ০৯ তে গিয়ে ঠেকে। তবে এবার তা কমানো হয়েছে।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জেট ফুয়েলের দাম যত বেশি হয়, ফ্লাইটের পরিচালন ব্যয় তত বাড়ে। একটি এয়ারলাইন্সের ৪০ শতাংশ পরিচালন ব্যয় হয় জেট ফুয়েলে। যেসব দেশ কম দামে তেল কিনছে, তাদের পরিচালন ব্যয় কম হচ্ছে। তারা কম দামে যাত্রীদের টিকিট দিতে পারে। আর বাংলাদেশে জেট ফুয়েলের অতিরিক্ত দামের প্রভাবে এয়ারলাইন্স প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব দিন দিন কমতে থাকে। এমন অবস্থা চলতে থাকলে আন্তর্জাতিক এভিয়েশন বাজারের প্রতিযোগিতা থেকে ছিটকে পড়বে বাংলাদেশের এয়ারলাইন্সগুলো। এমনকি রিজেন্ট, জিএমজি এবং ইউনাইটেড এয়ারওয়েজের মতো প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ার পেছনেও নিজেদের অতিরিক্ত পরিচালন ব্যয়ের কথা উল্লেখ রয়েছে।