মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫
মঙ্গলবার, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫

জাতীয় নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পাবে, জরিপে জানা গেল

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ অংশ না নিলে নির্বাচনে ৪৫.৬ শতাংশ ভোট পাবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। আর জামায়াতে ইসলামী পাবে ৩৩.৫ শতাংশ এবং ৪.৭ শতাংশ ভোট পাবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। বেসরকারি সংস্থা ইনোভিশন পরিচালিত এক জরিপে এসব তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ৩.৮ এবং জাতীয় পার্টি ২.১ শতাংশ ভোটা পাবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর জাতীয় আর্কাইভস অডিটোরিয়ামে ইনোভিশন কনসাল্টিং ফার্ম ‘জনগণের নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক জরিপের এই তথ্য প্রকাশ করে।

দেশের ৫৩১টি মহল্লার দেড় লাখ মানুষের ওপর এই জরিপ পরিচালিত হয়েছে। জরিপটির মোট নমুনা আকার ছিল ১০ হাজার ৪১৩ উত্তরদাতা। এর মধ্যে ৬৯.৫ শতাংশ গ্রামের এবং ৩০.৫ শতাংশ শহুরে ভোট দেয়ার যোগ্য মানুষ অংশগ্রহন করে। নমুনা কাভার করেছে আটটি বিভাগের ৬৪টি জেলা এবং ৫২১টি প্রাইমারি স্যাম্পলিং ইউনিট।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ভোট দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এমন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। দলটির পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন ৪১.৩০ শতাংশ ভোটার। এর পরেই রয়েছে জামায়াতে ইসলামী, যাদের প্রতি ৩৫.৫ শতাংশ ভোটারের সমর্থন দেখা গেছে।

গত বছরের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ তৃতীয় স্থানে আছে, যাদের ভোট ১৮.৮০ শতাংশ। নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ৪.১০ শতাংশ ভোটারের সমর্থন নিয়ে তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছে।

জরিপে উঠে এসেছে, সন্তুষ্টির পাশাপাশি জরিপে অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি তাদের অসন্তুষ্টিও জানিয়েছেন। যেখানে বিএনপির কার্যক্রমে একদমই সন্তুষ্ট না ১৪.৫ শতাংশ মানুষ। জামায়াতের প্রতি ১৪.১ শতাংশ, এনসিপির প্রতি ২১.৫ শতাংশ এবং আওয়ামী লীগের প্রতি ২০.২ শতাংশ মানুষ একদমই সন্তুষ্ট না।

এতে আরও বলা হয়েছে, এবারের নির্বাচনে ৬৫.৫ শতাংশ মানুষ প্রার্থীর যোগ্যতা দেখে ভোট দিতে আগ্রহী। যেখানে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ ভোট দেবেন দলীয় প্রতীক দেখে।

স্থানীয় রাজনীতিতে দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে ভোটারদের সন্তুষ্টির হারও জরিপে উঠে এসেছে। দেখা গেছে, সাধারণভাবে অন্যান্য দলের তুলনায় ভোটাররা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের স্থানীয় রাজনৈতিক কার্যক্রম নিয়ে বেশি সন্তুষ্ট। তরুণ প্রজন্ম এবং নারীরা জামায়াতের কার্যক্রমে তুলণামূলক বেশি সন্তুষ্ট।

বিএনপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৮.২ শতাংশ, জামায়াতের ১৩.৭ শতাংশ এবং এনসিপির কার্যক্রমে সন্তুষ্ট ৯.১ শতাংশ ভোটার।

জরিপে দেখা গেছে, ৪৫.৫৮ শতাংশ ভোটার মনে করেন, আওয়ামী লীগের বিচার হওয়ার আগে নির্বাচনে অংশ নিতে দেওয়া উচিৎ নয়। অপরদিকে ৪৫.৭৯ শতাংশ মনে করেন, সকল দলকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া উচিৎ।

গত মার্চেও একটি জরিপ চালিয়েছিলো ইনোভেশন কনসাল্টিং। ওই সময়ের তুলনায় সেপ্টেম্বরের জরিপে দেখা গেছে, পছন্দ প্রাকাশ করা ভোটারদের মধ্যে বিএনপির শেয়ার ০.৪০ পয়েন্ট এবং জামায়াতের ১.৩ পয়েন্ট কমেছে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের ৪.৮০ পয়েন্ট বেড়েছে।

জরিপে দেখা গেছে, বিএনপি ৬টি বিভাগে এগিয়ে আছে, জামায়াত রংপুরে এবং আওয়ামী লীগ বরিশালে এগিয়ে আছে।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More