আজ ১১ জ্যৈষ্ঠ। সাম্য, প্রেম ও বিদ্রোহের কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৬তম জন্মবার্ষিকী।
১৮৯৯ ইংরেজি ও ১৩০৬ বঙ্গাব্দের এই দিনে (১১ জ্যৈষ্ঠ) অবিভক্ত ভারতের বর্ধমান জেলার আসানসোল জামুরিয়া থানার চুরুলিয়া গ্রামে তিনি জন্মেছিলেন। তার ডাক নাম ‘দুখু মিয়া’। পিতার নাম কাজী ফকির আহমেদ ও মাতা জাহেদা খাতুন।
জাতীয় পর্যায়ে কুমিল্লা জেলায় আজ রবিবার (২৫ মে) শুরু হচ্ছে ৩ দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। ১২৬তম জন্মবার্ষিকীর মূল থিম নির্ধারণ করা হয়েছে, ‘চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান: কাজী নজরুলের উত্তরাধিকার’।
বাংলা সাহিত্যে বিদ্রোহী কবি হিসেবে পরিচিত হলেও কাজী নজরুল ছিলেন একাধারে কবি, সঙ্গীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, গল্পকার, নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, সাংবাদিক, চলচ্চিত্রকার, গায়ক ও অভিনেতা।
মুক্তিযুদ্ধে তার গান ও কবিতা ছিল প্রেরণার উৎস। বাংলাদেশ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে শেখ মুজিবুর রহমান কবি কাজী নজরুল ইসলামকে সপরিবারে সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশে নিয়ে আসেন।
বাংলা সাহিত্য এবং সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর কবি নজরুলকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধিতে ভূষিত করে। ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব প্রদান করে। একই বছর ২১ ফেব্রুয়ারি কাজী নজরুল ইসলামকে ‘একুশে পদক‘ ভূষিত করা হয়।
চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (পিজি) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন কবি নজরুল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদের পাশে অন্তিম শয্যায় আছেন জাতীয় কবি।
এসএ