শনিবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৫
শনিবার, নভেম্বর ১৫, ২০২৫

জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণে নিহত ৯

Avatar photoদীপ্ত নিউজ ডেস্ক

ভারতের কাশ্মীরের এক থানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৯জন নিহত এবং ২৯ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) রাতে সেখানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।

নিহতের বেশিরভাগই পুলিশ সদস্য এবং ফরেনসিক কর্মকর্তা, যারা বিস্ফোরকগুলো পরীক্ষা করছিলেন। শ্রীনগর প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাও বিস্ফোরণে প্রাণ হারান। সম্প্রতি হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে আনা বিস্ফোরক সামগ্রী যাচাইয়ের সময়ই এ বিস্ফোরণ ঘটে।

আহতদের ভারতীয় সেনাবাহিনীর ৯২ বেস হাসপাতাল এবং শেরকাশ্মীর ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেসে (এসকেআইএমএস) নেওয়া হয়েছে। শীর্ষ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন এবং পুরো এলাকা ঘিরে ফেলা হয়েছে।

কিছু দিন আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ এবং উত্তরপ্রদেশের সাহারানপুরে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক পদার্থ বাজেয়াপ্ত করেছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। এসব অভিযান থেকে মোট ২৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছিল। এতে ছিল বোমা তৈরির সরঞ্জাম এবং অস্ত্রশস্ত্র। শুধু ফরিদাবাদ থেকেই পুলিশ উদ্ধার করে ৩৬০ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। পরীক্ষার জন্য তা কাশ্মীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। রাখা হয়েছিল নওগাম থানায়। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটেছে।

বাজেয়াপ্ত করা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট পরীক্ষা করে দেখতে নওগাম থানায় বেশ কয়েক জন ফরেন্সিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। ঠিক কী কারণে কী ভাবে বিস্ফোরণ ঘটল, গাফিলতি কার, এখনো তা স্পষ্ট নয়। তবে এই বিস্ফোরক পদার্থগুলোই দিল্লির লালকেল্লার সামনের বিস্ফোরণে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বলে তদন্তকারীদের একাংশের অনুমান। যে গাড়িটি দিল্লির বিস্ফোরণে ব্যবহার করা হয়েছিল, সেটি ফরিদাবাদ থেকেই এসেছিল।

দিল্লির বিস্ফোরণের সঙ্গে যে জঙ্গি যোগসূত্র পাওয়া গেছে নওগাম থানার পুলিশই তা প্রথম খুঁজে বের করেছিল। এর আগে ১৯ অক্টোবর নওগাম এলাকায় জইশমোহাম্মদ সমর্থনকারী পোস্টার দেখা গেলে সাত জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্ত এগিয়ে নিতে গত ১ নভেম্বর ড. আদিল আহমদ রাথার এবং পরে আরও এক চিকিৎসক ড. মুজামিল আহমদ গণাই ওরফে মুসাইবকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন

This website uses cookies to improve your experience. We'll assume you're ok with this, but you can opt-out if you wish. Accept Read More