চীন আফ্রিকার দেশগুলোতে বিপুল পরিমাণে ঋণ কার্যক্রম চালাচ্ছে। এতে আফ্রিকাকে দেয়া চীনের ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড রবার্ট মালপাস। রবিবার (২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
মূলত অর্থনৈতিক উন্নতি সাধনে চীনের কাছ থেকে এই ঋণ নিচ্ছে আফ্রিকার দেশগুলো। আর বেইজিংয়ের এই ঋণ কর্মকাণ্ডে উদ্বিগ্ন বিশ্বব্যাংক।
বার্তা সংস্থা বিবিসিকে তিনি জানান, আফ্রিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোকে দেওয়া চীনের কিছু ঋণের ব্যাপারে তিনি উদ্বিগ্ন। এসব ঋণ প্রদানের নিয়ম–নীতি ও শর্তাবলি আরো স্বচ্ছ হওয়া প্রয়োজন।
ঘানা এবং জাম্বিয়াসহ আফ্রিকার দেশগুলো বেইজিংয়ের কাছ থেকে তাদের নেয়া ঋণ পরিশোধ করতে লড়াই করছে বলে বিদ্যমান গুঞ্জনের মধ্যেই বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট নিজের উদ্বেগের কথা সামনে আনলেন।
কিয়েল ইনস্টিটিউট ফর দ্য ওয়ার্ল্ড ইকোনমির নেতৃত্বে হওয়া নতুন এক গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সালের মধ্যে চীন বিশ্বব্যাপী ২২টি দেশকে ১৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার জরুরি বেলআউট অর্থ ধার দিয়েছে।
যদিও চীন বলেছে, তার সব ঋণ কার্যক্রম আন্তর্জাতিক নিয়ম–নীতি মেনেই হচ্ছে।
অবকাঠামো, শিক্ষা এবং কৃষির বিকাশ–সহ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য উন্নয়নশীল দেশগুলো প্রায়শই অন্যান্য দেশ বা আর্থিকখাতের বহুপাক্ষিক সংস্থার কাছ থেকে অর্থ ধার করে থাকে।
কিন্তু গত বছর যুক্তরাষ্ট্রসহ অন্যান্য প্রধান অর্থনীতির দেশগুলোতে সুদের হারের তীব্র বৃদ্ধি এসব উন্নয়নশীল দেশের ঋণ পরিশোধকে আরও ব্যয়বহুল করে তুলছে।
বেইজিং সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উন্নয়নশীল অর্থনীতির দেশগুলোর ঋণের সবচেয়ে বড় উৎস হয়ে উঠেছে।
অবশ্য আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে অন্যান্য দেশকে শোষণ করার বিষয়ে যে অভিযোগ সামনে এসেছে, চীন তা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।
অনু/দীপ্ত সংবাদ