দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে এখন পর্যন্ত উপকূলীয় ছয় জেলায় প্রাণ গেছে ১০ জনের। এর মধ্যে পটুয়াখালীতে তিনজন, ভোলা ও বরিশালে দুইজন এবং সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় একজন করে মারা গেছেন।
বরিশাল
ভোরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী এলাকায় বহুতল ভবনের দেয়াল ধসে লোকমান ও মোকছেদুল দুজন নিহত হয়েছেন।
ভোলা
ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবে ভোলায় মারা গেছেন শিশুসহ দুজন। এর মধ্যে বসতঘরে চাপা পড়ে মারা যান মনেজা খাতুন নামে এক নারী। এ ছাড়া জেলার দৌলতখানে ঘর চাপা পড়ে মাইশা (৪) নামে এক শিশু মারা গেছে।
চট্টগ্রাম
সকালে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার টেক্সটাইল এলাকায় দেয়াল চাপায় সাইফুল ইসলাম হৃদয় নামে এক পথচারী মারা যান।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীতে রেমালের তাণ্ডবে মারা গেছেন তিনজন। এর মধ্যে দুমকি উপজেলায় ঝোড়ো হাওয়ায় গাছচাপায় জয়নাল হাওলাদার নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। জেলার বাউফলে মৃত্যু হয়েছে মো. আব্দুল করিম নামে এক পথচারীর। এদিকে, রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যায় সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার গাবুরা ইউনিয়নের নাপিতখালি আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার পথে শওকাত মোড়ল নামে এক বৃদ্ধ মারা যান।
কুমিল্লা
কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার নোয়াগাঁও চৌমুহনী এলাকায় নুর আইডিয়াল স্কুলে ক্লাস করার সময় পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন এক ভবনের দেয়াল ধসে সাইফুল ইসলাম সাগর (১২) নামে ৫ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ঘূর্ণিঝড় দুর্বল হয়ে পড়ায় সমুদ্রবন্দরে মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এসএ/দীপ্ত সংবাদ