অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। শুক্রবার (১২ মে) বেলা ১১টার পর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। বর্তমানে জেলার বেশকিছু এলাকায় হালকা বৃষ্টি হচ্ছে।
এদিকে, দেশের চার বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত উঠিয়ে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান শুক্রবার (১২ মে) দুপুর সাড়ে ৩টায় বলেন, অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখা এখন বাংলাদেশের দিকে আসছে। তাই সংকেত পাল্টানো হলো।
এদিন সকালে ঘূর্ণিঝড় মোখা প্রবল থেকে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় হিসেবে পরিণত হয় বলে জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। সেই সঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগরে থাকা সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতি দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৩০ কিলোমিটার। এটি দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড়কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেওয়ার অর্থ হলো, এখন ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশমুখী। এখন এর মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়ার সময়।’
এমি/দীপ্ত সংবাদ