গৌরবের পদ্মা সেতু উন্মোচনের এক বছর পূর্ণ হলো রবিবার (২৫ জুন)। গত বছর ২৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু উন্মোচন করেন। পরের দিন ২৬ জুন থেকে যান চলাচলের জন্য সেতুটি উন্মুক্ত করা হয়।
এরপর থেকে দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগ বড়েছে শহুরে মানুষের। অপর দিকে করে পদ্মা সেতুর রেলপথের শেষ স্লিপার স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার পদ্মা বহুমুখী সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জের মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত বিশেষ ট্রেন গত ৪ এপ্রিল পরীক্ষামূলকভাবে চালানো হয়।
এর পর থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে গত এক বছরে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৩ লাখেরও বেশি। এসব যানবাহন পারাপারে টোল আদায় হয়েছে ৭৯৫ কোটি টাকারও বেশি। শুধু তাই নয়, এক বছরের মধ্যেই দেশের দক্ষিণ–পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার বাসিন্দা পদ্মা সেতুর সুফল ঘরে তুলতে শুরু করেছেন।
এই সেতুর কল্যাণে বাঁচছে সময়, বাঁচছে কর্মঘণ্টা, বাড়ছে বিনিয়োগ, বাড়ছে কর্মসংস্থান এবং যোগাযোগ খাতে এসেছে আমূল পরিবর্তন। তাই এই এক বছরে পদ্মা সেতুতে প্রত্যাশার চেয়েও প্রাপ্তি ঘটেছে অনেক বেশি।
সেতু বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ২৫ জুন উদ্বোধনের পরদিন, ২৬ জুন ভোর ৬টা থেকে সাধারণ যানবাহন চলাচল শুর হয় পদ্মা সেতুতে। এই এক বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন পারাপার হয়েছে ৫৩ লাখেরও বেশি। আর টোল আদায় হয়েছে ৭৯৫ কোটি টাকার বেশি। এই টোল থেকে প্রথম বছরের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৬৩২ কোটি ৯৩ লাখ ৬৬ হাজার ১৪২ টাকা ঋণ পরিশোধ করেছে সেতু বিভাগ।
এছাড়া ১৫ শতাংশ হারে সরকারকে ভ্যাট দেওয়া হয়েছে ১২০ কোটি টাকা। অবশ্য উদ্বোধনের পর প্রায় ১০ মাস পর গত ২০ এপ্রিল থেকে পদ্মা সেতু দিয়ে মোটরসাইকেল পারাপারের অনুমতি দেওয়া হয়।
সেতু বিভাগ সূত্রে আরও জানা যায়, এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে মোট ব্যয় হয়েছে ৩২ হাজার ৬০৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার এবং সেতুর মূল নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ২৬ নভেম্বর।
আগামী সেপ্টেম্বরে ঢাকা থেকে মাওয়া ও ভাঙ্গা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রকল্পটির রেল নেটওয়ার্ক ঢাকা হতে পদ্মা সেতু হয়ে মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর, মাদারীপুর ও নড়াইল এই চারটি জেলা অতিক্রম করে যশোরের সঙ্গে সংযোজিত হবে।
আফ/দীপ্ত নিউজ